WEATHER

Top News


ভোট দিতে যাওয়ার আগে অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় যেটা প্রথমে আসে তা হল, তাঁর সঙ্গে যিনি ভোট দিতে যাচ্ছেন তাঁর যে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা, তা নিয়ে বাগবিতণ্ডা নয়। এর অর্থ কী।কাছে বিষয়টা খোলসা করে রাহুল বললেন, "বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ একসঙ্গে থাকতেই পারেন। কিন্তু ভোট দিতে যাওয়ার আগে যেন তাঁদের মধ্যে কোনওরকম মন কষাকষি না চলে।"

রাহুল কোন দিকে? বলেন, 'সায়নী আমার বউয়ের বন্ধু, আর সৃজনকে আমার ভাল লাগে'
(বাঁ দিকে) লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরের সিপিআইএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য, মাঝখানে অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, (ডান দিকে) যাদবপুরেরই তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ


রাহুল অরুণাদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন দারুণ অভিনেতা। সম্প্রতি যাত্রার মঞ্চে সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি রাহুলের আরও এক পরিচয়–তিনি বই পোকা। অনেক ছোট বয়স থেকে বইয়ের পাহাড়ের ভিতর ঢুকে থাকতে ভালবাসেন রাহুল। প্রচুর বই পড়েন। সমাজ সচেতন মানুষ তিনি। এবং একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি তাঁর দুর্বলতা গোড়া থেকেই। সেই ভালবাসা বদলায়নি এতগুলো বছরেও। রাহুলের পরিবার কংগ্রেসের সমর্থক। মূলত তাঁর বাবা-মা। কিন্তু রাহুল তা নন। তিনি বরাবরই বাম-প্রিয়। ভোট দিতে যাওয়ার আগে তাঁর মাথায় যেটা প্রথমে আসে তা হল, তাঁর সঙ্গে যিনি ভোট দিতে যাচ্ছেন তাঁর যে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা, তা নিয়ে বাগবিতণ্ডা নয়। এর অর্থ কী। 
 কাছে বিষয়টা খোলসা করে রাহুল বললেন, “বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ একসঙ্গে থাকতেই পারেন। কিন্তু ভোট দিতে যাওয়ার আগে যেন তাঁদের মধ্যে কোনওরকম মন কষাকষি না চলে।”


বিষয়টা আরও একটু খোলসা করা যাক। রাহুলের স্ত্রী অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার একটি অন্য রাজনৈতিক দলের সমর্থক। রাহুল যে প্রার্থীকে ভোট দেবেন, সে কেন্দ্রটি হল যাদবপুর। গতবার, অর্থাৎ ২০১৯ সালে সেই কেন্দ্রে সেখানে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন ‘গানের ওপারে’র পুপে, তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবার স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন রাজনীতির ময়দান থেকে। প্রার্থী হননি যাদবপুরে। সেই জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে। সায়নী এবার প্রিয়াঙ্কা দারুণ বন্ধু। অর্ণব মিদ্দার ‘অন্দরকাহিনী’ ছবিতে একসঙ্গে সমকামী জুটি হিসেবে অভিনয় করেছিলেন তাঁরা। রাহুল বলেছেন, “আমি কিন্তু আমার স্ত্রীকে কখনও জিজ্ঞেসই করি না ও কাকে ভোট দেবে। আমি সবটাই জানি, বুঝতে পারি। ওর সঙ্গে সায়নীর একটা ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। যতই রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকুক না কেন, সায়নীকে আমি মানুষ হিসেবে খুব সম্মান করি এবং তিনি বহুদিন ধরে আমার সহকর্মী-বন্ধু। আমার আবার ভাল লাগে বাম-প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যকে। তা হলেই বুঝুন।”

অভিনয় করার সময় তাঁকে যেন কেউ টাচ না করে, এটাই ছিল মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মন্ত্র। তবে চিত্রনাট্য অনুযায়ী সেরকম দৃশ্য থাকলে সুচিত্রা টাচ করতে দিতেন কখনও-সখনও। সে অন্য কথা! অধিকাংশ সময়ই টাচ না করার নির্দেশ থাকত তাঁর। এ হেন সুচিত্রার সঙ্গে প্রোটোকল ভেঙে দুঃসাহসিক কাজ করেছিলেন এক অভিনেতা। ঝড় বয়ে গিয়েছিল সেটে!

সুচিত্রা সেনের পিঠে আচমকা চুমু ধর্মেন্দ্রর, শুটিংয়ের সেটে ধুন্ধুমার মহানায়িকার
সুচিত্রা সেন এবং ধর্মেন্দ্র, মমতা ছবির শুটিংয়ে...


‘অভিনয় করার সময় ও যেন আমাকে টাচ না করে’, ‘সপ্তপদী’ ছবিতে রিনা ব্রাউনরূপী সুচিত্রা সেনের সেই সংলাপ আজও ভুলতে পারেনি বাংলার দর্শক। ছবির প্রথম অংশে সুচিত্রার যে ভাবমূর্তি তুলে ধরা হয়েছিল পর্দায়, সেটাই নাকি ছিল তাঁর স্বরূপ। মহানায়িকা তিনি। পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করে নিজের ইউএসপি তৈরি করবেন, সেই ধাতুর মানুষ ছিলেন না মোটে। সত্যি-সত্যি মনে করতেন, অভিনয় করার সময় তাঁকে যেন কেউ টাচ না করে। তবে চিত্রনাট্য অনুযায়ী সেরকম দৃশ্য থাকলে সুচিত্রা টাচ করতে দিতেন কখনও-সখনও। সে অন্য কথা! অধিকাংশ সময়ই টাচ না করার নির্দেশ থাকত তাঁর। এ হেন সুচিত্রার সঙ্গে প্রোটোকল ভেঙে দুঃসাহসিক কাজ করেছিলেন এক অভিনেতা। ঝড় বয়ে গিয়েছিল সেটে!


১৯৬৬ সালে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের সঙ্গে একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মুম্বইয়ের সুদর্শন-প্রতিভাবান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। সেই ছবির নাম ছিল ‘মমতা’। বাঙালি পরিচালক অসিত সেনের নির্দেশনায় তৈরি হয়েছিল ছবি। বাংলা ছবি ‘উত্তর ফাল্গুনী’র হিন্দি রিমেক ছিল ‘মমতা’। সেই সময় বাংলার ব্লকবাস্টার ছবির হিন্দি রিমেক হত খুবই। ‘উত্তর ফাল্গুনী’র এই বলিউডি রিমেকে নায়কের টুপি মাথায় দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। এবং সেই ছবির শুটিং করতে গিয়েই নায়িকা সুচিত্রা সেনের প্রতি একটু বেশিই দুর্বল হয়ে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। যার পর খুবই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মহানায়িকা। যাচ্ছে তাই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ছবির সেটে।

‘মমতা’ ছবিতে মা এবং মেয়ে দুই চরিত্রেই অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা। মা দিব্যানী এবং মেয়ে সুপর্ণা। সুপর্ণা চরিত্রটির প্রেমিকের নাম ইন্দ্রনীল, তাতে কাস্ট করা হয় ধর্মেন্দ্রকে। এক সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন সুচিত্রা সেনকে তাঁর চুমু খাওয়ার ঘটনা। বলেছিলেন, “‘দেবদাস’ ছবিতে প্রথমবার দেখেছিলাম সুচিত্রা সেনকে। সেই থেকে আমি মনে-মনে পছন্দ করতাম তাঁকে। ‘মমতা’ ছবির শুটিংয়ে আমি এবং সুচিত্রা আউটডোরে গিয়েছিলাম। ছবির কিছু অংশের শুটিং হয়েছিল দার্জিলিংয়ে।”



মূলত দুটি প্রশ্ন করেছিল এই খ্যাতনামীদের। প্রশ্ন এক : কী বিচার করে কোনও প্রার্থীকে তাঁরা ভোট দেন? প্রশ্ন দুই : ক্ষমতায় আসা নতুন সরকারের থেকে তাঁদের কী প্রত্যাশা? চাঁচাছোলা উত্তর এসেছে দোলন, খরাজ এবং ভাস্করের থেকে।

রেগে আগুন খরাজ-ভাস্কর-দোলনরা, কেন চাইছেন রাষ্ট্রপতি শাসন?
খরাজ-দোলন-ভাস্কর


প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে চলছে ২০২৪ সালের ভোট পর্ব। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের ভোটদান। ইতিমধ্যেই ভোট হয়ে গিয়েছে দেশের বেশ কিছু জায়গায়। ১ জুন পর্যন্ত চলবে বিভিন্ন দফার ভোট পর্ব। ৪ জুন জানা যাবে ফলাফল। জানা যাবে, কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য। এই মুহূর্তে চায়ের দোকানে, বিভিন্ন আড্ডায় বিষয় বাতাসে তাপমাত্রা কত এবং এই লোকসভা ভোট। খ্য়াতনামীরাও এই নিয়ে অহোরাত্র আলোচনা চালাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ-কেউ আবার বীতশ্রদ্ধ। বীভৎস বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। চারদিকের রাজনৈতিক ডামাডোল, রাজ্যের এবং দেশের চুরিচামারি, জালিয়াতি দেখে সব রাজনৈতিক দলের থেকেই আশা হারিয়েছেন তাঁরা। বিরক্তি প্রকাশ করতে কুণ্ঠা প্রকাশ করছেন না অভিনেত্রী দোলন রায়, অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায় এবং ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তাঁদের বিরক্তি শুনল 

 মূলত দুটি প্রশ্ন করেছিল এই খ্যাতনামীদের। প্রশ্ন এক : কী বিচার করে কোনও প্রার্থীকে তাঁরা ভোট দেন? প্রশ্ন দুই : ক্ষমতায় আসা নতুন সরকারের থেকে তাঁদের কী প্রত্যাশা? চাঁচাছোলা উত্তর এসেছে দোলন, খরাজ এবং ভাস্করের থেকে।



টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। ইনিংসের প্রথম ওভার শেষ হয় আজিঙ্ক রাহানের উইকেটে। টিমকে অবশ্য চাপে পড়তে দেননি ঋতুরাজ। একদিক থেকে ইনিংস অ্যাঙ্কর করেন। জাডেজা, শিবম দুবের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ম জুটি গড়েন। শিবম দুবে মাঠে আসতেই বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু ঋতুরাজেরও। ইনিংসের শুরুটা তুলনামূলক মন্থর হলেও গিয়ার শিফ্ট করতে সময় লাগেনি ঋতুরাজের। ছয় মেরে ৫৫ বলে ৯৯-তে পৌঁছন।

 স্ত্রী উৎকর্ষার চ্যালেঞ্জ! CSK-এর নস্টালজিয়ার দিনে সেঞ্চুরি ঋতুরাজের


প্রথম দিন! চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে আজকের দিনটা তেমনই। ২০০৮ সালে শুরু হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। আজকের দিনেই এই মাঠে প্রথম হোম ম্যাচ খেলেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। সেই দিনটা সেঞ্চুরিতে স্মরণীয় করে রাখলেন চেন্নাই সুপার কিংসের নতুন অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। আইপিএলে কেরিয়ারে এটি তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। চেন্নাই জার্সিতে একের পর এক ভরসাযোগ্য ইনিংস উপহার দিচ্ছেন ঋতুরাজ।


টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। ইনিংসের প্রথম ওভার শেষ হয় আজিঙ্ক রাহানের উইকেটে। টিমকে অবশ্য চাপে পড়তে দেননি ঋতুরাজ। একদিক থেকে ইনিংস অ্যাঙ্কর করেন। জাডেজা, শিবম দুবের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ম জুটি গড়েন। শিবম দুবে মাঠে আসতেই বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু ঋতুরাজেরও। ইনিংসের শুরুটা তুলনামূলক মন্থর হলেও গিয়ার শিফ্ট করতে সময় লাগেনি ঋতুরাজের। ছয় মেরে ৫৫ বলে ৯৯-তে পৌঁছন।

ইনিংসের ১৮তম ওভারে অবশেষে স্বপ্নপূরণ। আইপিএল কেরিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হলেও ভারতের মাটিতে প্রথম! কেরিয়ারের প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরিটি এসেছিল দুবাইতে। এ বার ঘরের মাঠের সমর্থকদের সামনে। ৫৬ বলে বাউন্ডারি সেঞ্চুরি পার করেন। কয়েক দিন আগেই চেন্নাই সুপার কিংস সোশ্যাল মিডিয়ায় মিষ্টি একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিল। ঋতুরাজ ও তাঁর স্ত্রী উৎকর্ষার ব্যাটিং চ্যালেঞ্জ। স্ত্রী উৎকর্ষাও ক্রিকেটার। উৎকর্ষার সেই চ্যালেঞ্জের পরই সেঞ্চুরি!


শেষ অবধি ৬০ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। শেষ বলে মাঠে নামেন মাহি। বাউন্ডারি মারেন। লখনউকে ২১১ রানের বিশাল টার্গেট দেয় চেন্নাই সুপার কিংস।



আইপিএল 2024: প্রয়োজন ছিল এই জুটি ভাঙার। পরের ওভারেই আক্রমণে পাথিরানা। বড় শটের চেষ্টায় হাই ক্যাচ। শার্দূলের অনবদ্য ক্যাচে ১৫ বলে ৩৪ রানে ফেরেন নিকোলাস পুরান। ম্যাচে ফেরে চেন্নাই সুপার কিংসও। ১৭তম ওভারে মাত্র ৭ রান এবং পুরানের উইকেট। ১৮তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান। ডট বলে শুরু করলেও স্টইনিস পরের বলেই বিশাল ছয় মারেন।

চেন্নাই দুর্গে মার্কাস হানা, মরসুমে প্রথম হোমে হার ধোনিদের


চেন্নাই দুর্গ অক্ষত রইল না। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের সেঞ্চুরি, শিবম দুবের বিধ্বংসী ইনিংসের সৌজন্যে লখনউকে ২১১ রানের বিশাল টার্গেট দেয় চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু মার্কাস হানায় ঘরের মাঠে এ মরসুমে প্রথম হার ধোনিদের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কুইন্টনের উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল লখনউ। তিন নম্বরে পাঠানো হয় মার্কাস স্টইনিসকে। অবিশ্বাস্য, হিসেবি একটা ইনিংস। চিপকের মাঠে কখনও এত রান তাড়া হয়নি। সেটাই করে দেখাল লখনউ। ৬৩ বলে ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস মার্কাস স্টইনিসের।


শেষ পাঁচ ওভারে ৭৪ রানের টার্গেট। ক্রিজে সেট ব্যাটার মার্কাস স্টইনিসের সঙ্গে বিধ্বংসী নিকোলাস পুরান। ১৬তম ওভারে শার্দূল ঠাকুরকে বোলিংয়ে। এই সিদ্ধান্তই দামী হয়ে দাঁড়ায়। নিকোলাস পুরান এই ওভারকেই যেন টার্গেট করে রেখেছিলেন। প্রথম ৫ বলে ১৯ রান পুরানের ব্যাটেই। শেষ বলে সিঙ্গল স্টইনিসের। ২০ রানের ওভার চেন্নাইকে চাপে ফেলে। বাকি ৪ ওভারে ৫৪ রান কঠিন ছিল না। অন্তত ক্রিজে এই দুই ব্যাটার থাকলে তো নয়ই।

প্রয়োজন ছিল এই জুটি ভাঙার। পরের ওভারেই আক্রমণে পাথিরানা। বড় শটের চেষ্টায় হাই ক্যাচ। শার্দূলের অনবদ্য ক্যাচে ১৫ বলে ৩৪ রানে ফেরেন নিকোলাস পুরান। ম্যাচে ফেরে চেন্নাই সুপার কিংসও। ১৭তম ওভারে মাত্র ৭ রান এবং পুরানের উইকেট। ১৮তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান। ডট বলে শুরু করলেও স্টইনিস পরের বলেই বিশাল ছয় মারেন। এই ওভারেই ৫৬ বলে কেরিয়ারের প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরি মার্কাস স্টইনিসের। সার্বিক ভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।


এ মরসুমে ইতিমধ্য়েই রাজস্থান-আরসিবি এবং কেকেআর-রাজস্থান ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি দেখা গিয়েছিল। সিএসকের হয়ে ঋতুরাজের পর স্টইনিসের সেঞ্চুরি। শেষ দু-ওভারে ৩২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় লখনউ সুপার জায়ান্টসের। স্টইনিস ক্রিজে থাকা অবধি ভরসা ছিল লখনউ শিবিরে। ১৯ তম ওভারে পাথিরানা। বাউন্ডারিতে ওভার শুরু। তবে সবচেয়ে অস্বস্তির তৃতীয় ডেলিভারি। দীপক চাহারের মিস ফিল্ডে বাউন্ডারি হয়। ১৯তম ওভারে ১৫ রান ওঠে।

শেষ ওভারে ১৭ রানের টার্গেট লখনউয়ের। ছয় মেরে মুস্তাফিজুরকে স্বাগত জানান স্টইনিস। আর পিছন ফিরে তাকাননি। ৩ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয়। চিপকের মাঠে রান তাড়ায় সবচেয়ে বড় স্কোরের রেকর্ড এখন স্টইনিসের দখলে। মিস ফিল্ডিংয়েরও খেসারত দিল চেন্নাই, বলাই যায়।

এ দিকে, আজ সকাল থেকেই কার্যত দাপট বাড়াতে শুরু করেছে গরম। ভোর ছ'টায় মারত্মক সূর্যের তেজে ধীরে ধীরে তাতছে দক্ষিণবঙ্গ। বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে গরমের দাপট যে আরও বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা আরও ৪ ডিগ্রি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ থেকে আরও মারত্মক গরম, ১১ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা
আজ থেকে মারাত্মক গরম



কলকাতা: একটুও সুখবর নেই। মাঝ বৈশাখে প্রবল গরম বাড়ার পূর্বাভাস। আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা আরও দুই থেকে চার ডিগ্রি বাড়তে পারে। আজ ও আগামিকাল রাজ্যের চার জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা। অন্তত শনিবার পর্যন্ত ১৭ জেলায় তাপপ্রবাহের আশঙ্কা। একাধিক জেলা তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়তে পারে। শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয় উত্তরেও হানা তাপপ্রবাহের। মৌসম ভবন বলেই দিচ্ছে এপ্রিলের বাকি দিনে নিস্তার পাওয়ার বিন্দু মাত্র আশা নেই।


এ দিকে, আজ সকাল থেকেই কার্যত দাপট বাড়াতে শুরু করেছে গরম। ভোর ছ’টায় মারত্মক সূর্যের তেজে ধীরে ধীরে তাতছে দক্ষিণবঙ্গ। বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে গরমের দাপট যে আরও বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা আরও ৪ ডিগ্রি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার ক্ষেত্রে তাপমাত্রা আরও ২ ডিগ্রি বাড়ার সম্ভাবনা। সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, গরম বাড়লেও এখনই বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দিতে পারছে না আলিপুর আবহাওয়া অফিস।


আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বুধবার মোট ১১ জেলায় থাকছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। তালিকায় রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার মতো জেলা। তবে বুধবার তাপপ্রবাহের হাত থেকে মুক্তি মিলবে হাওড়া, কলকাতার। তবে সবথেকে বেশি তাপমাত্রার বৃদ্ধি দেখা যাবে সপ্তাহান্তে। তাপমাত্রার বড় লাফ দেখা যেতে পারে শুক্র ও শনিবার।

 মঞ্চ থেকে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "শুধু লিড দিলে হবে না। এই কেন্দ্রে একটাও বিরোধী নেই। ৯০ শতাংশ করে ভোট বুথে লাগবে। নইলে সেই মেম্বার, সেই প্রধান, সেই লিডারের সঙ্গে আমরা হিসাব করব।"


 '২৬ তারিখের পর কিন্তু আমাদের ফোর্সের সঙ্গে থাকতে হবে, তখন বলবেন না আমার কী হল....', ভোটার হুমকি দিতেই TMC বিধায়ককে শোকজ কমিশনের
হামিদুল রহমান, চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক


চোপড়া: নির্বাচনের পূর্বে হুমকি দিয়ে বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক। হামিদুল রহমানকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাওয়ার পর দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিরোধী ভোটারদের উদ্দেশ্যে একথা বলার অভিযোগ উঠেছিল চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। এরপরই তাঁকে শোকজ করে কমিশন। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জবাব তলব কমিশনের।


কী বলেছিলেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক?

আগামী শুক্রবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। তার আগে নির্বাচনী দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী গোপাল লামার প্রচারে গিয়েছিলেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। মঞ্চ থেকে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “শুধু লিড দিলে হবে না। এই কেন্দ্রে একটাও বিরোধী নেই। ৯০ শতাংশ করে ভোট বুথে লাগবে। নইলে সেই মেম্বার, সেই প্রধান, সেই লিডারের সঙ্গে আমরা হিসাব করব।”


এরপর ভোটার উদ্দেশ্য বলেন, “আপনার মূল্যবান ভোট নষ্ট করবেন না। বাঁদরামি করবেন না। ২৬ তারিখ কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবে। তারপর থেকে আমাদের ফোর্সের সঙ্গে আপনাদের থাকতে হবে। তখন কিন্তু বলবেন না আমাদের কী হল, আমার কী হল। তাই আগেই অনুরোধ করে বললাম ভোট নষ্ট করবেন না।” নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এই বক্তব্যের ভিডিয়ো তাঁরা পেয়েছেন। তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এই বক্তব্য নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। সেই কারণেই জবাব তলব বলে জানিয়েছে কমিশন।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর একসময় ছিল কংগ্রেসের গড়। ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিষ্ণুপুর পুরসভা ছিল কংগ্রেসের দখলে। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কোতুলপুর ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় জয়ী হয় কংগ্রেস।

জোটে সমীকরণে সেই মনগরম, বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুরে সিপিএম প্রার্থীর প্রচারে দেখা মিলছে না কংগ্রেসীদের
সিপিএমের প্রচারে দেখা মিলছে না কংগ্রেসীদের


বাঁকুড়া: জোট সমীকরণে সারা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার দুটি আসনেই প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। বাঁকুড়ায় সিপিএম প্রার্থীর সমর্থনে মাঝেমধ্যে কংগ্রেস কর্মীদের দেখা গেলেও বিষ্ণুপুর লোকসভায় দেখা মিলছে না কংগ্রেস কর্মীদের। এজন্য গলায় অভিমানের সুর কংগ্রেস নেতৃত্বের। তোপ দেগেছে বামেদের বিরুদ্ধে। বামেরা অবশ্য সুর নরম করে জানিয়েছে এই প্রচারে সামিল হওয়ার দায়িত্ব দু’পক্ষেরই।


বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর একসময় ছিল কংগ্রেসের গড়। ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিষ্ণুপুর পুরসভা ছিল কংগ্রেসের দখলে। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কোতুলপুর ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় জয়ী হয় কংগ্রেস। নেতা ও কর্মীদের লাগাতার দলবদলের জেরে বিষ্ণুপুরে পরবর্তীতে কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষমতা কমলেও এলাকাভিত্তিক কিছু কর্মী এখনও রয়েছে কংগ্রেসের।

সারা রাজ্যে বাম কংগ্রেস জোট করে লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে নামলেও বিষ্ণুপুরে বাম প্রার্থী শীতল কৈবর্ত্যর প্রচারে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না কংগ্রেসের পতাকা। কেন এমন অবস্থা? তবে কী কোথাও জোটে ফাটল বিষ্ণুপুরে?


বিষ্ণুপুরের প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য দেব চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বামেদের পক্ষে সর্বাত্মকভাবে প্রচারে নামতে তাঁরা তৈরি। কিন্তু তাঁদের মেয়ের বিয়ে নয়। বামেরা কংগ্রেসকে না ডাকলে কংগ্রেস আগ বাড়িয়ে প্রচারে যাবে না। কংগ্রেস নেতৃত্বের এই অভিমানের কথা শুনে সুর নরম বাম প্রার্থীর। বিষ্ণুপুরের বাম প্রার্থী শীতল কৈবর্ত্যর বক্তব্য, তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে কঠিন এই লড়াইয়ে বামেদের পাশাপাশি কংগ্রেসেরও দায়িত্ব প্রচারে অংশ নেওয়া। তারপরও কংগ্রেস কর্মীরা অভিমান করে থাকলে বিষয়টি নিয়ে বাম জেলা নেতৃত্ব কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবে।

মঙ্গলবার সল্টলেকের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বলেন, "আমি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছিলাম। শিক্ষামন্ত্রীর মতো একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি এ কাজ করেছেন ভেবে আমি স্তম্ভিত হয়েছিলাম।"

আমি স্তম্ভিত! শিক্ষামন্ত্রীর মতো একজন ব্যক্তি এ কাজ করেছেন'
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।


কলকাতা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এসএসসি-র ২০১৬ সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়েছে। এরপর থেকেই রাজ্য-রাজনীতিতে পড়েছে আলোড়ন। চাকরিহারারা একদিকে যেমন রাস্তায় নেমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আন্দোলনের, অপর দিকে আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে এসএসসি। আর এই পরিস্থিতিতে এবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব খুললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।


মঙ্গলবার সল্টলেকের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ না করেই কড়া ভাষায় তাঁকে বেঁধেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বলেন, “আমি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছিলাম। শিক্ষামন্ত্রীর মতো একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি এ কাজ করেছেন ভেবে আমি স্তম্ভিত হয়েছিলাম।” একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, “শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে আমরা যা শুনেছিলাম তা এখন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে প্রমাণ হয়ে গেল।” এখানে উল্লেখ্য, হাইকোর্টের রায়ের পর পার্থকে নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও। তিনি বলেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো কিছু ব্যক্তির পাপের ফল এখন ভোটের ভোগ করতে হচ্ছে দলকে। আগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এবার রাজ্যপালের মুখেও শোনা গেল সেই একই প্রসঙ্গ।

এখানেই কিন্তু শেষ নয়। রাজ্যপাল বোস বললেন, “শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে এখন যেটা আমাকে ভাবাচ্ছে তা হল,বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি। বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার অভিযোগও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহদ্দি থেকে দুর্নীতি, হিংসা দূর করার জন্য‌‌ই আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করি।”


প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল বিরোধ নতুন নয়। পরে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের পাঠানো তালিকা থেকেই ৬ জন উপাচার্যকে বেছে নেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। তবে এ দিনের এসএসসি-র পর রাজ্যপাল যেভাবে উচ্চ-শিক্ষা নিয়ে মন্তব্য করলেন তা কি পরোক্ষে রাজ্যকে খোঁচা দিলেন তিনি? সেই প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।

জলসত্র রায়দিঘী থানা

 কথায় আছে জল দান,মানে জীবন দান।এক ফোঁটা জল দান করার জন্য দরকার হয় না অর্থের,দরকার মানবিকতার। সম্প্রতি, তীব্র তাপপ্রবাহে পথ চলতি মানুষের মাঝে রায়দিঘী থানার উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং বাতাসা বিতরণ করা হয় মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা নাগাদ। এইদিন তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে সুন্দরবন পুলিশ জেলার নির্দেশে রায়দিঘী থানার আইসি দেবর্ষি সিনহার তত্ত্বাবধানে কাশিনগর বাজারে পথচারী টোটো চালক অটো চালক সহ বিভিন্ন পেশার মানুষের মাঝে পানীয় জল বিতরণ করা হয়। 
সুন্দরবন পুলিশ জেলার অ্যাডিশনাল এসপি কৌস্তবতীর্থ আচার্য, রায়দিঘী থানার আইসি দেবর্ষি সিনহা, রায়দিঘী থানার এস আই অফিসার রাহুল রায় সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত থেকে বিশুদ্ধ পানীয় জল বাতাসা বিতরণ করেন,এবং তীব্র তাপ প্রবাহ কালে করনীয় সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রদান করেন। আবহাওয়া দপ্তর অনুযায়ী দিনকে দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে।তারফলে পথ চলতি মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে এক ফোঁটা জলের কারণে, তারপর রায়দিঘী থানার আইসি দেবর্ষি সিনহার তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার থেকে কাশিনগর বাজার এলাকায় পানীয় জল এবং বাতাসা বিতরণ অব্যাহত রাখেন।

হম দিল চুকে সনম' ছবিতে অভিনয় করতে-করতেই পর্দার বাইরেও সলমন-ঐশ্বর্যর মধ্যে প্রেম জমে ক্ষির হয়ে ওঠে। তখন কোথায় অভিষেক, কোথায় বচ্চন পরিবার। খবরের শিরোনামে জ্বলজ্বল করত কেবলই ঐশ্বর্য-সলমনের ভালবাসা!

'সলমনই আমার জীবন', হঠাৎই বলে ফেলেন ঐশ্বর্য!
ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং সলমন খান।


নীল রঙের সি থ্রু আঁচল। তাতে তারার মতো সাদা চকচকে চুমকি বসানো। তাঁদের কথা উঠলেই ভেসে আসে এই ছবি। অপরূপা সুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালেন বলিউডের ভাইজান সলমন খান। ‘হম দিল চুকে সনম’ ছবিতে অভিনয় করতে-করতেই পর্দার বাইরেও সলমন-ঐশ্বর্যর মধ্যে প্রেম জমে ক্ষির হয়ে ওঠে। তখন কোথায় অভিষেক, কোথায় বচ্চন পরিবার। খবরের শিরোনামে জ্বলজ্বল করত কেবলই ঐশ্বর্য-সলমনের ভালবাসা!


সেই সময়ই ‘কফি উইথ করণ’ টক শোতে হাজির হলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন রাই সুন্দরী। একটি রাউন্ডে সলমন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল ঐশ্বর্যকে। জিজ্ঞেস করা হল, সলমন খান সম্পর্কে তাঁর কী বক্তব্য? রাই সুন্দরী অকপট বলেন, “সলমন আমার জীবন…”

তারপর বাকিটা ইতিহাস। ঐশ্বর্যর জীবন হয়ে থাকলেন না সলমন। তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গেল। শোনা যায়, ঐশ্বর্যর গালে নাকি কষিয়ে একটা চড় মেরেছিলেন ভাইজ়ান। সেই থাপ্পড়ের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল অনেকদূর পর্যন্ত। তাসের ঘরের মতো ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের মনের সাজানো সংসারটা। ঐশ্বর্য হাঁটা দিয়েছিলেন পিছন ঘুরে। তাঁকে মনে-মনে খুবই মিস করতেন সলমন। এতটাই মিস করতেন যে, ঐশ্বর্যর মতো দেখতে স্নেহা উল্লালকে খুঁজে বের করেছিলেন সঙ্গে-সঙ্গে। সেই অভিনেত্রীর সঙ্গে একটি আস্ত ছবিও তৈরি করে ফেলেছিলেন ভাইজান। সকলে বলাবলি করেছিলেন, ঐশ্বর্যকে ভুলতেই স্নেহার আবির্ভাব

ডনের অঙ্গুলিহেলনেই নাকি একবার একটি অনুষ্ঠানে নেচেছিলেন রাজেশ খান্না, ডিম্পল কাপাডিয়ার কন্যা টুইঙ্কল খান্না। সব্বাই জানেন, বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের স্ত্রীও তিনি। দাউদের ইশারায় কোনও অনুষ্ঠানে কি সত্যি নেচেছিলেন টুইঙ্কল? এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী...

দাউদের অঙ্গুলিহেলনে টুইঙ্কলের নাচ, অবশেষে মুখ খুললেন অক্ষয়-পত্নী?
দাউদ-টুইঙ্কল।


মুম্বইয়ের আলো-আঁধারি জগতের ‘বেতাজ বাদশাহ’ দাউদ ইব্রাহিম। এই প্রখ্যাত ডন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার খাতায়। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণের মূল ষড়যন্ত্রকারীর তালিকায় নাকি ছিলেন এই ডনই। তাঁকে নিয়ে সিনেমা হয়েছে প্রচুর। বলিউডের সুন্দরী নায়িকাদের উপর নজরও রয়েছে এই ডনের। এই ডনের অঙ্গুলিহেলনেই নাকি একবার একটি অনুষ্ঠানে নেচেছিলেন রাজেশ খান্না, ডিম্পল কাপাডিয়ার কন্যা টুইঙ্কল খান্না। সব্বাই জানেন, বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের স্ত্রীও তিনি। দাউদের ইশারায় কোনও অনুষ্ঠানে কি সত্যি নেচেছিলেন টুইঙ্কল? এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী…


মস্করা করার খুবই স্বভাব আছে টুইঙ্কলের। এ প্রশ্ন আসতেই হাসতে-হাসতে তাঁর জবাব, “সবাই বলছে, আমি নাকি দাউদের কোনও এক অনুষ্ঠানে নেচেছি। হাসি পাচ্ছে। রাগও হচ্ছে। এমনটা রটেছে দেখে। আমি তো নাচতেই পারি না। আমার কাছে নাচতে গেলেই উঠোন বাঁকা। আমার ছেলেমেয়েরা বলে, ‘মা, তোমার নাচ দেখলে মনে হয় কুস্তি করছ’। আর আমাকে দাউদ ডাকবেন। কখনওই না। আরও অনেক ভাল নৃত্যশিল্পী আছেন। তাঁদের ডাকবেন। আমাকে ডাকবেনই না। সব মিথ্যে কথা।”

আগামী ৯ মে বিয়ে করছেন কৌশাম্বী ও আদৃত। সেই উপলক্ষেই গোটা মিঠাই পরিবারের তরফে আয়োজিত হয়েছিল এক গেট টুগেদারের। সেই গেট টুগেদারে হাজির ছিলেন ছোট থেকে বড় সকলেই। বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, স্বাগতা বসু, লোপামুদ্রা সিনহা থেকে শুরু করে ফাহিম মির্জা, বিশ্বাবসু বিশ্বাস-- বাদ ছিলেন না কেউই।

তলানিতে আদৃত-সৌমিতৃষার সম্পর্ক? এক ছবিই উস্কে দিল রটনা
এক ছবিই উস্কে দিল রটনা


‘মিঠাই’ ধারাবাহিক চলাকালীনই ইন্ডাস্ট্রিতে রটনা ছিল সম্পর্ক নাকি মোটেও ভাল নেই, ছবির দুই প্রধান আদৃত রায় ও সৌমিতৃষা কুন্ডুর। এক সময় তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেলেও রটেছিল কৌশাম্বী চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকেই নাকি ক্রমশ সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে তাঁদের। সেই রটনা এবার আরও উস্কে দিলেন খোদ আদৃতই। নেপথ্যে এক ছবি।


আগামী ৯ মে বিয়ে করছেন কৌশাম্বী ও আদৃত। সেই উপলক্ষেই গোটা মিঠাই পরিবারের তরফে আয়োজিত হয়েছিল এক গেট টুগেদারের। সেই গেট টুগেদারে হাজির ছিলেন ছোট থেকে বড় সকলেই। বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, স্বাগতা বসু, লোপামুদ্রা সিনহা থেকে শুরু করে ফাহিম মির্জা, বিশ্বাবসু বিশ্বাস– বাদ ছিলেন না কেউই। এমনকি দেখা গিয়েছিল তন্বী লাহা রায়কেও। তবে ফ্রেমে দেখা যায়নি সৌমিতৃষাকে। মিঠাইয়ের এই অনুপস্থিতিই বাড়িয়ে দিয়েছে নানা জল্পনা। আদৃতের ‘আইবুড়োভাত’-এ তন্বীর উপস্থিতি মোটেও ভাল ভাবে নেননি মিঠাইয়ের ভক্তরাও। তাঁদের পুরনো ‘ঝামেলা’র প্রসঙ্গ টেনে এনে একজন লেখেন, “শুধু বাদ সৌমিতৃষা? এটা কিন্তু ঠিক নয়।”




ইন্ডাস্ট্রির সূত্র বলে, ধারাবাহিক চলাকালীনই আদৃত ও সৌমিতৃষার সখ্য গড়ে উঠেছিল। সখ্য হয়তো নিতেও পারত অন্য কোনও সম্পর্কের নাম। তবে তা হয়নি। কারণ, অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আদৃত। আপাতত সেই সম্পর্কই আরও একধাপ এগচ্ছে। আগামী ৯ মে বিয়ে করছেন তিনি ও তাঁর সহকর্মী তথা প্রেমিকা কৌশাম্বী। মিঠাই সেই বিয়েতে যান কিনা এখন সেটাই দেখার।