WEATHER

Top News

প্রসঙ্গত, ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেস দখল করলেও এলাকার রাশ ছিল জমি কমিটির নেতাদের হাতেই। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড় ২ ব্লকে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯টি তৃণমূল কংগ্রেস দখল করলেও পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েত দখল রাখে জমি কমিটি।


 ভাঙড়ে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ শওকতের, লোকসভা ভোটের আগে শক্তি বাড়ল তৃণমূলের
শক্তি বাড়ল তৃণমূলের


ভাঙড়: লোকসভা ভোটে ভাঙড়ে শক্তি বাড়ল শাসক তৃণমূলের। ভাঙন ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনকারীদের মধ্যে। ভাঙড়ের জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শতাধিক কর্মী যোগ দিল ঘাসফুল শিবিরে। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির শতাধিক সদস্য। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারে একটি সভার ডাক দেওয়া হয় শাসকদলের পক্ষ থেকে। সেখানেই চলে এই যোগদান পর্ব। 

এদিন যে সমস্ত কর্মীরা শাসক শিবিরে ভিড়লেন তাঁদের সিংহভাগেরই বাড়ি পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মিদ্দে পাড়ায়। পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনে এই সব কর্মীদের বড় ভূমিকা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। ভোটের মুখে এই নতুন যোগদানের ফলে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের মনোবল আরও বেশ খানিকটা বাড়বে বলেই মনে করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। শওকত মোল্লা বলছেন, জমি কমিটি কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। যারা লড়াই করেছে তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আগামীদিনে পোলেরহাট ২ সহ ভাঙড়ে বড় জয় পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। 

সদ্য তৃনমূলে যোগ দেওয়া জমি কমিটির প্রাক্তন সদস্য রিন্টু মিদ্দে বলেন, জমি কমিটি এলাকায় কোনও উন্নয়ন করেনি। সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমাদের বঞ্চিত করেছে। সে কারণেই তৃণমূলে যোগ দিলাম। যদিও জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সম্পাদক মির্জা হাসান বলছেন, দুর্নীতির জন্য ক’দিন আগে কিছুজনকে কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। জমি কমিটির তেমন কেউ নেই। অধিকাংশ আইএসএফ।



আরাবুলের ছেলে হাকিমুল ইসলামের অভিযোগ, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগেই এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, চোরের দল পাঁচটি ঘরের সমস্ত দরজা খুলে আলমারি থেকে সোনার গহনা এবং নগদ টাকাসহ সমস্ত সামগ্রী চুরি করে নিয়েছে। ভর সন্ধ্যায় কীভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটল সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

আরাবুলের মেয়ের বাড়িতে চুরি, কী কী খোয়া গেল জানেন?
আরাবুল ইসলাম।


ভাঙড়: ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম এখনও জেলে। সেখানেই দিন কাটছে তাঁর। কিন্তু এরই মধ্যে বড় অঘটন ঘটে গেল তাঁর পরিবারের সদস্যের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার মেয়ের বাড়িতে হয়েছে বড়সড় চুরি। খোয়া গিয়েছে প্রচুর গহনা সহ প্রচুর টাকা ও সামগ্রী। পরিবারের দাবি, তারাবি নামাজের সময়ই এই ঘটে থাকলেও ঘটেতে পারে।


আরাবুলের ছেলে হাকিমুল ইসলামের অভিযোগ, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগেই এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, চোরের দল পাঁচটি ঘরের সমস্ত দরজা খুলে আলমারি থেকে সোনার গহনা এবং নগদ টাকাসহ সমস্ত সামগ্রী চুরি করে নিয়েছে। ভর সন্ধ্যায় কীভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটল সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।


এ দিকে, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পোলেরহাট থানার পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানে পৌঁছন আরাবুল ইসলামের পুত্র হাকিমুল ইসলামও। তিনি বলেন, “সন্ধ্যে নাগাদ আমার দিদি এক আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিল। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ বেরিয়েছিল। ঘরে ফেরে সাড়ে ন’টা নাগাদ। তখন দেখেন বাড়ি পুরো লন্ডভন্ড। প্রচুর সোনা গহনা, ক্যাশ টাকা নিয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয় বড় ক্রাইম হয়েছে। আনুমানিক প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সামগ্রী। ৭০ থেকে ৮০ হাজার ক্যাশ টাকা চুরি গিয়েছে।”




এমনকি তাঁর পীঠে ধারাল দা দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। সেই অবস্থায় স্বপন মালি আর্তচিৎকার শুরু করলে আশপাশের মানুষজন ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে দুজন পালিয়ে যায়।

 গরু চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে মার, ভাইরাল ভিডিয়ো
ক্যানিং থানা


ক্যানিং: ক্যানিংয়ে গরু চোর সন্দেহে এক যুবককে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ।আর গাছে বেঁধে মারধরের সেই ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ভোর রাতের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত মাতলা ২ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের থুমকাটি গ্ৰামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে ব্যবসায়ী স্বপন মালি নামে এক বাসিন্দা ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর বেলায় তিনি প্রতিদিনের মতো উঠে দেখতে পান যে তিন জন অপরিচিত ব্যক্তি তার বাড়ি থেকে একটি গরু নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। ওই যুবক তাদের জিজ্ঞাসা করলে ওই তিন জন যুবকের ওপর চড়াও হয় । মারধর করতে থাকে।


এমনকি তাঁর পীঠে ধারাল দা দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। সেই অবস্থায় স্বপন মালি আর্তচিৎকার শুরু করলে আশপাশের মানুষজন ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে দুজন পালিয়ে যায়। সাইফুদ্দিন শেখ নামের এক দুষ্কৃতীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্বপন মালি। এরপরে চলে গাছে বেঁধে শুরু হয় গণপ্রহার।


গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়া ওই দুষ্কৃতীর নাম সাইফুদ্দিন শেখ। বাড়ি মগরাহাট এলাকায়। এরপর ক্যানিং থানার পুলিশ ওই দুষ্কৃতীকে উদ্ধার করে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।এই গরু চুরি চক্রের মাথা আর কারা কারা রয়েছে তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত গরু চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ছোট থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া স্টার তৈমুর আলি খান। তৈমুর জন্মলগ্ন থেকেই ভাইরাল। তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক ফ্যানপেজ। তার ছবি ভক্তদের হাতে হাতে ঘোরে, স্কুলের আপডেট থেকে শুরু করে, মায়ের হাত ধরে সৈকত ভ্রমণ, তালিকা থেকে বাদ পড়ে না কিছুই।

'তৈমুরের বিয়ে?' বরকর্তা সইফ? ভিডিয়ো সামনে আসতেই চমকে গেল নেটপাড়া


বয়স মাত্র সাত। ২০১৬ সালে পাতৌদি পরিবারের কোল আলো করে জন্ম হয়েছিল সর্বাধিক চর্চিত স্টারকিড তৈমুর আলি খান। করিনা কাপুর ও সইফ আলি খানের প্রথম সন্তান। দেখতে দেখতে সাত বছর বয়স হয়ে গেল এরই মধ্যে বিয়ে? কী অবাক হচ্ছেন তো? সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তা নিয়ে চর্চা শুরু। তৈমুর আলি খানের নাকি বিয়ে, নেটিজ়েনদের এমন মনে হওয়ার পিছনে কারণ হল সইফ আলি খান। এক ভিডিয়োতে দেখা যায় বরকর্তার সাজে সেজে উঠেছেন সইফ আলি খান। ভিন্টেজ গাড়িতে, মাথায় পাগরি পরে সকলের নজর কাড়ছেন তিনি। পিছনে আসছে পালকি। সামনে বসে সইফ বলছেন ‘মালিকাইয়াজম’। সেই ভিডিয়োটা ঠিক কীসের, তা প্রকাশ্যে না এলেও নানা জনের নানা মত। ফলে নেটিজ়েনদের মজার মজার কমেন্টে ভরে উঠছে নেটপাড়া।


কেউ লিখছেন, তৈমুর আলি খানের বিয়ে। কেউ আবার লিখেছেন, সইফ তৃতীয় বিয়ে করতে চলেছেন। কেউ আবার লিখলেন, সলমন খানের বিয়েতে চলেছেন সইফ আলি খান। তবেল ঠিক কী কারণে এই রাজকীয় আয়োজন তা জানা যায়নি। প্রসঙ্গত এই ভিডিয়ো পোস্ট হওয়া মাত্র অনেকেই অনেক মন্তব্য করছেন। তবে তা যে ছোট্ট তৈমুরের বিয়ে নয়, কিংবা সলমনেরও বিয়ের সানাই বাজেনি, তা স্পষ্ট হয়েই যায়।



ছোট থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া স্টার তৈমুর আলি খান। তৈমুর জন্মলগ্ন থেকেই ভাইরাল। তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক ফ্যানপেজ। তার ছবি ভক্তদের হাতে হাতে ঘোরে, স্কুলের আপডেট থেকে শুরু করে, মায়ের হাত ধরে সৈকত ভ্রমণ, তালিকা থেকে বাদ পড়ে না কিছুই। তবে কোথাও গিয়ে যেন সেই তৈমুর আলি খানকে নিয়েই দর্শকদের নিরাশ করেছিলেন করিনা কাপুর খান। কারণ তাঁর মনে হয় তৈমুর ফুটবল খেলতে পছন্দ করে, হয়তো সে খেলার দিকেই যেতে পছন্দ করবেন।

বলিউডের প্লে-বয় হিসেবে একটা সময় দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল অক্ষয় কুমারকে। তাঁকে মন দেননি এমন কোন নারী বোধহয় সেই সময় ছিল না। অন্যদিকে অক্ষয় কুমারের মনে তখন একাধিক প্রেমের আনাগোনা।

অক্ষয়ের সঙ্গে বিয়ে ভাঙতেই আত্মহত্যার চেষ্টা, কোন অভিনেত্রীর জীবনে নামে অন্ধকার?


অক্ষয় কুমার। বলিউডের অন্যতম চর্চিত স্টার। কেরিয়ারের শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। বহু অভিনেত্রীর সঙ্গেও নাম জড়াতে দেখা গিয়েছিল তাঁর। খবরের শিরোনামে রাতারাতি জায়গা করে নিতে দেখা গিয়েছিল সেই সকল খবর। যে তালিকা থেকে বাদ পড়েননি রবিনা টন্ডনও। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুদিনেই গভীরে পৌঁছে যায় সম্পর্ক। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে বিচ্ছেদ যেন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে অভিনেত্রীর কাছে। বলিউডের প্লে-বয় হিসেবে একটা সময় দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল অক্ষয় কুমারকে। তাঁকে মন দেননি এমন কোন নারী বোধহয় সেই সময় ছিল না। অন্যদিকে অক্ষয় কুমারের মনে তখন একাধিক প্রেমের আনাগোনা।


তবে রবিনা ট্যান্ডনের সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ কিছুদিন স্থায়ী হওয়ায় তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিয়ে করবেন। তেমনই স্বপ্ন দেখেছিলেন রবিনা ট্যান্ডন। সব ঠিকঠাক, হঠাৎই বিয়ে থেকে বেঁকে বসেছিলেন অক্ষয় কুমার। যে ধাক্কা সহ্য করতে পারেনি অভিনেত্রী। শোনা যায় সেই সময় তিনি আত্মহত্যা চেষ্টা করেছিলেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি বারখা দত্ত-কে ইউটিউবে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রবিনা ট্যান্ডন ফিরলেন সেই ভয়ানক স্মৃতিতে। সম্পর্কের এই জল্পনা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করে সোজা স্বপ্নের উত্তর দিলেন রবিনা ট্যান্ডন। স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন তাঁর এই নিয়ে কোনও আক্ষেপই নেই।

রবিনের কথায়, ”হতেই পারে। মিডিয়া সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। কারণ তখন তাঁরা তাঁদের ম্যাগাজিন বিক্রি করার চেষ্টায় ব্যস্ত। আমার কাছে পরিবার ও কাছের মানুষেরা কী ভাবছেন সেটা বেশি জরুরী ছিল। তারপর কে কী ভাবল, তা নিয়ে আমি খুব একটা মাথা ঘামাই না।” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই মিথ্যে খবর কীভাবে দুটো ম্যাগাজিন প্রতিটা মুহূর্তে লিখে গিয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যের।

স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি মোটেও একটা জিনিস পছন্দ করেন না, আর তা হল তাঁর প্রেমিককে স্পেস দেওয়া অর্থাৎ একটুখানি ছেড়ে দেওয়া। দিনে ৫০ থেকে ৭৫ বার ফোন করা থেকে শুরু করে ২৪ ঘন্টা প্রেমিককে আঁকড়ে রাখতেই পছন্দ করেন অনন্যা পাণ্ডে।

অনন্যার প্রেমিক হলে আপনি এটা থেকে বঞ্চিত হবেন, কোন খামতির কথা বললেন স্টারকিডের

অনন্যা পাণ্ডে, বলিউডে পা রাখার পর থেকে সকলের নজর কেড়েছেন এই স্টারকিড। করণ জোহারের হাত ধরে বলিউডে যাত্রা শুরু। তারপর একের পর এক ছবি। কখনও ফিরে তাকাতে হয়নি অনন্যা পান্ডেকে। দিন-দিন নিজেকে অভিনয়ের ক্ষেত্রে আরও পরিণত করে তুলছে অনন্যা। ওয়েব সিরিজ হোক কিংবা বড়পর্দা, নিজের পাওয়া চরিত্রটুকুকে যত্ন করে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে তিনি যে মরিয়া তা বারবার প্রমাণিত। কেরিয়ার একদিকে যেমন গোছাচ্ছেন, তেমনই আবার ব্যক্তি জীবন নিয়েও বেশ যত্নশীল অনন্যা। জীবনে একাধিক সম্পর্ক উঁকি দিলেও বর্তমানে আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে চুচিয়ে প্রেম করছেন তিনি। একাধিক ছবি থেকে ভিডিয়ো ভাইরাল হতে দেখা গিয়েছে।


সম্পর্ক নিয়ে কখনও কোনও সেলেব এই সত্য সামনে এনেছেন, কখনও আবার হেসে সম্মতি জানিয়েছেন খোদ অনন্যাই। তবে জানেন কি, অনন্যা পাণ্ডে, যে অভিনেত্রী বহু পুরুষের স্বপ্নের নারী, তাঁর সঙ্গে প্রেম করতে গেলে বেজায় জ্বালায় পড়তে হবে। এবারে সেই সত্যি নিজেই খোলসা করে দিলেন অনন্যা পাণ্ডে। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি মোটেও একটা জিনিস পছন্দ করেন না, আর তা হল তাঁর প্রেমিককে স্পেস দেওয়া অর্থাৎ একটুখানি ছেড়ে দেওয়া। দিনে ৫০ থেকে ৭৫ বার ফোন করা থেকে শুরু করে ২৪ ঘন্টা প্রেমিককে আঁকড়ে রাখতেই পছন্দ করেন অনন্যা পাণ্ডে।


যদিও তা অতীতের গল্প, বর্তমানে এই স্বভাব কাটিয়ে উঠেছেন বলেই দাবি করলেন সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে। তাঁর কথায় তিনি বুঝতে পারেন এই ‘স্পেস’ সম্পর্কে কতটা জরুরী। যদিও তিনি অতীতে তা কখনও-ই দিতেন না। তবে বর্তমান সম্পর্ককে স্পেস দিচ্ছেন, কি দিচ্ছেন না, সে প্রশ্ন উত্তর সামনে না আসলেও আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে যে তাঁর প্রেমটা বেজায় জমে গিয়েছে তা এক কথায় প্রমাণিত। তবে এখনই বিয়ে, নয় কেরিয়ারে বর্তমানে ফোকাস করতে চাই চাঙ্কি পাণ্ডের কন্যা।



প্রাণের স্বামী শাহরুখ খানকে ডিভোর্স দিতে কেন চেয়েছিলেন গৌরী? কী এমন ঘটেছিল তাঁদের মধ্যে যে শাহরুখের সংসার ছেড়ে চিরকালের মতো বেরিয়ে এসেছিলেন গৌরী? জানেন সেই গোপন কথা... জানলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না যে আলোর নীচে কত্ত অন্ধকার রয়েছে।

শাহরুখকে 'ডিভোর্স'! সংসার ছারখার করে মায়ের কাছে চলে যান গৌরী?
শাহরুখ-গৌরী।


গৌরী খানকে বিয়ে করেছিলেন শাহরুখ খান। দিল্লির বড়লোক পরিবারের মেয়ে ছিলেন গৌরী। শাহরুখের সঙ্গে একই স্কুলে পড়তেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই গৌরীকে মন দিয়ে বসেছিলেন শাহরুখ। তাঁকে প্রথম-প্রথম গৌরীর পরিবার একেবারেই মেনে নেয়নি। কিন্তু শাহরুখ গৌরীর ব্যাপারে খুবই পজ়েসিভ ছিলেন। অন্য কারও সঙ্গে কথা বললে শাহরুখের খুবই অস্বস্তি হত। তিনি বিরক্ত হতেন। ফলে পজ়েটিভ প্রেমিকের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য মুম্বইয়ে পালিয়ে এসেছিলেন গৌরী। প্রেমিকা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে, এই ভয়ে এবং দুঃখে শাহরুখও দিল্লি ছেড়ে মুম্বইয়ে চলে এসেছিলেন। তাঁর হাতে ছিল মাত্র ৫০ টাকা। প্রত্যেকদিন মুম্বইয়ের সি-বিচে ঘুরে বেড়াতেন শাহরুখ এবং গৌরীকে খুঁজে বেড়াতেন। তারপর নিরাশ হয়ে দিল্লি ফিরে আসার দিন হঠাৎই গৌরীর সঙ্গে শাহরুখের একটি ছোট্ট সি-বিচে দেখা হয়। গৌরী বুঝতে পারেন, শাহরুখ তাঁকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসেন। রূপকথার মতো গল্প, তাই না!


অনেকগুলো বছর ধরে সুখী দাম্পত্য কাটাচ্ছেন শাহরুখ-গৌরী। কিন্তু এই সুখী দাম্পত্যে একবার ফাটল লাগে। চারদিকে রটে যায়, গৌরী নাকি শাহরুখকে ডিভোর্স দিতে চলেছেন।

কী ভয়ানক কাণ্ড, তাই না! শাহরুখ খানের মতো একজন কিংবদন্তি তারকার ঘর ভাঙছে, লোকের তো কৌতূহল হবেই। এই ঘরভাঙার গুঞ্জনের পিছনে নাম জড়ায় এক বিশ্ব সুন্দরীর। ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের পর এই ভারতীয় নারীর মাথাতেই ওঠে মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুট। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কারণেই গৌরী-শাহরুখের সংসার ভেঙে ছারখার হয়ে যাচ্ছিল।



ভমিকার পর এবার তাঁদের কোলে এসেছে পুত্র সন্তান। তাও জন্মের দিন এই খবর সামনে আনেননি বিরাট কোহলি। সন্তান জন্মের পাঁচ দিনের মাথায় সুখবর শেয়ার করে নিয়েছিলেন দম্পতি। তবে ছবি ভমিকার মত এ ক্ষেত্রেও যে সামনে আসবে না তা একপ্রকার সকালের জানা ছিল। কিন্তু আনুষ্কা শর্মা!

দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার পর কেমন দেখতে হয়েছে অনুষ্কাকে, প্রথম ছবি প্রকাশ্যে
বিরুষ্কার ছেলের নাম 'অকায়


অন্তঃসত্ত্বা হওয়া থেকে শুরু করে সন্তানের জন্ম দেওয়া, পুরোটাই গোপনে রাখতে চেয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। অন্যদিকে একইভাবে অনুষ্কা শর্মা, কাউকে কিছু জানতে দেননি। কাক পক্ষীতেও টের পাইনি তাঁদের পরিবারে আরও এক নতুন সদস্য আসতে চলেছে। যদিও অনুষ্কা শর্মার একাধিক ছবি সামনে আসায় অনুমান করে নিয়েছিলেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। বারবার বেবি বাম্পের ছবি ভাইরাল হতে দেখা যায়। তারপরেই সবটা ধামাচাপা। বেশ কিছুদিন এই জুটিকে একেবারেই দেখা গেল না, তারপর শোনা গিয়েছিল বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অনুষ্কা শর্মা।



ভমিকার পর এবার তাঁদের কোলে এসেছে পুত্র সন্তান। তাও জন্মের দিন এই খবর সামনে আনেননি বিরাট কোহলি। সন্তান জন্মের পাঁচ দিনের মাথায় সুখবর শেয়ার করে নিয়েছিলেন দম্পতি। তবে ছবি ভমিকার মত এ ক্ষেত্রেও যে সামনে আসবে না তা একপ্রকার সকালের জানা ছিল। কিন্তু আনুষ্কা শর্মা! সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তিনি কেমন আছেন? অবশেষে অপেক্ষার অবসান সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ বিরতির পর আবারও হাজির হলেন আনুষ্কা শর্মা। তার ছবি দেখা মাত্রই স্বস্তি ফিরলো ভক্তদের মনে। শোনা যাচ্ছে শীঘ্রই ফিরছেন তাঁরা। বিরাট কোহলি ও আনুষ্কা শর্মা বরাবরই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা চর্চা কিংবা আলোচনা পছন্দ করেন না। তাই নিজেদের ব্যক্তিগত কোনও খবরই নিজে থেকে সামনে আনেন না তাঁরা। যতটা সম্ভব রাখঢাক বজায় রেখেই সেলেব লাইফ লিড করছেন।




শুরু থেকেই ওজন অনেকটাই কমেছে বনি কাপুরের। বরাবরই তাঁর খাওয়াদাওয়ার উপর কড়াকড়ি করতেন স্ত্রী শ্রীদেবী। খুবই মেপেঝুপে খাওয়াদাওয়া করাতেন স্বামীকে। শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর সেই সব বিষয়ে লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছিলেন বনি। ওজন অনেকটাই কমে গিয়েছিল তাঁর। এবার ফের নিজের শরীরের দিকে খেয়াল দিতে শুরু করেছেন বনি।

প্রয়াত স্ত্রীর ডায়েট মেনে ১৭ কিলো ওজন কমালেন শ্রীদেবীর স্বামী বনি
বনি-শ্রীদেবী।


১৭ কিলো ওজন কমিয়ে ফেলেছেন শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর। ১১৫ কেজি থেকে ৯৮ কেজি ওজন হয়েছে তাঁর। কিন্তু কীভাবে কমালেন ১৭ কিলো, জানেন? ওজন কমানোর জন্য বনি কাপুর মেনে চলেছেন তাঁর স্বর্গীয় স্ত্রী শ্রীদেবীর ডায়েট।


শুরু থেকেই ওজন অনেকটাই কমেছে বনি কাপুরের। বরাবরই তাঁর খাওয়াদাওয়ার উপর কড়াকড়ি করতেন স্ত্রী শ্রীদেবী। খুবই মেপেঝুপে খাওয়াদাওয়া করাতেন স্বামীকে। শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর সেই সব বিষয়ে লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছিলেন বনি। ওজন অনেকটাই কমে গিয়েছিল তাঁর। এবার ফের নিজের শরীরের দিকে খেয়াল দিতে শুরু করেছেন বনি।

তাঁর জন্য তৈরি করা শ্রীদেবীর আদর্শ ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া শুরু করেছেন বনি। কী খাচ্ছেন তিনি? খাবার থেকে তেলতেলে এবং তেলযুক্ত খাবার এক্কেবারে বাদ দিয়েছেন প্রযোজক। সিদ্ধ খাবার খেতে শুরু করেছেন তিনি। গ্লুটেন-ফ্রি (পড়ুন সুগারহীন) খাবার খাচ্ছেন। এবং ভাত। কাপুররা তো খুবই ভাতটাত খেতে ভালবাসেন। সেই ভাত ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বনি। কিন্তু একেবারেই কি বাদ দিয়েছেন। এক্কেবারেই না। সপ্তাহে কেবল একবার মাত্র ভাত খাচ্ছেন বনি। এর নড়চড় করছেন না একবিন্দুও।

 সেই সময় একটা ভাল কাজের জন্য দরজায় দরজায় ঘুরছেন অমিতাভ বচ্চন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন ছবির সেটে গিয়ে দেখা করছেন জয়ার সঙ্গে। তেমনই একদিন রাজেশ খান্না সামনে পড়ে যেতে তাঁকে চরম অপমানিত হতে হয়েছিল।

ছবি থেকে বাদ, অভিমানে টাকা নিয়ে অমিতাভকে খোঁজা রাজেশের?


রাজেশ খান্না, একটা সময় দাপটের সঙ্গে এই দুই নাম বলিউডে কাজ করে গিয়েছে। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজেস খান্নার স্টারডার্ম একটা সময় হারিয়ে যেতে থাকলেও অমিতাভ বচ্চন আজও বলিউডের তাজ হয়ে গিয়েছেন। যে সত্যি আগে থেকেই অনুমান করে নিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী জয়া বচ্চন। তখন সেলেবের হাতে একের পর এক কাজ, ম্যাগাজিনে তাঁর ছবি প্রকাশিত হচ্ছে। সেই সময় একটা ভাল কাজের জন্য দরজায় দরজায় ঘুরছেন অমিতাভ বচ্চন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন ছবির সেটে গিয়ে দেখা করছেন জয়ার সঙ্গে। তেমনই একদিন রাজেশ খান্না সামনে পড়ে যেতে তাঁকে চরম অপমানিত হতে হয়েছিল।


সেদিন প্রতিবাদ করে জয়া বলেছিলেন, ‘একদিন অমিতাভ আপনার থেকেও বড় অভিনেতা হবে’। পরবর্তীতে তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে দেখা যায়। তবে রাজেশ খান্না যে অমিতাভ বচ্চনের এই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠা, ভাল চোখে দেখছিলেন না, তা একপ্রকার প্রমাণিত। কোনও সাক্ষাৎ করে ঠেস মেরে কথা বলা, কখনও আবার আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেওয়া যে তিনি মোটেও এতে খুশি নন, ‘দিওয়ার’ ছবিতে রাজেশ খান্নার বদলে অমিতাভ বচ্চনকে যখন নেওয়া হয় তখন অভিমানী অভিনেতা জানিয়েছিলেন ‘বোধহয় বাজেটে অমিতাভ ফিট করবে’।


অর্থাৎ তিনি স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছিলেন তাঁর যা পারিশ্রমিক, তার থেকেও অমিতাভ বচ্চনের পারিশ্রমিক অনেকটাই কম। ছবিতে তাঁকে নিতে গেলে যে অর্থ ব্যয় হবে, তার থেকে অনেকটাই কম খরচ হবে অমিতাভের ক্ষেত্রে। যদিও এই ছবিটা পাল্টে যেতে খুব একটা সময় নেয়নি, একটা সময়ের পর ধীরে ধীরে চিনে জগৎ থেকে হারিয়ে যেতে বসেন রাজেশ খান্না আর মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করেন অমিতাভ বচ্চন, যিনি ৫০ বছর পেরিয়ে আজও বলিউডে দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করে চলেছেন।

শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এ কী বললেন অঙ্কুশকে। কেন তাঁকে 'ফালতু' বললেন সকলের সামনে? কী এমন ঘটেছিল বলুন তো? এই তো কিছুদিন আগে পর্যন্তও সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল দুই তারকার মধ্যে। হঠাৎ কেন এই মন্তব্য শুভশ্রীর?

অঙ্কুশকে 'ফালতু' ছেলে বলে খোঁটা শুভশ্রীর, এসব কী চলছে টলিপাড়ার অন্দরে!
অঙ্কুশ-শুভশ্রী।


দু’জনেরই বাড়ি বর্ধমানে। মফস্বল থেকে উঠে আসা দুই তারকা। একজন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যজন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। বিগত ১০-১২ বছর ধরে টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করছেন অঙ্কুশ। খুলে ফেলেছেন নিজের প্রযোজনা সংস্থাও। সেই সংস্থা থেকে অঙ্কুশের ছবি ‘মির্জ়া’ মুক্তি পাবে। ছবি তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। ছবিতে ‘মির্জা’র চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে অঙ্কুশকেই। অন্যদিকে গঙ্গোপাধ্যায় প্রায় দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন টলিউডের বুকে। তিনি এখন সুগৃহিনী এবং দুই সন্তানের জননী। পরিচালক-বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে বিয়ে করে এখন ঘোরতর সংসারী হয়ে উঠেছেন। কিন্তু সংসারী হয়ে উঠলেও শুভশ্রী কিন্তু নিজের কেরিয়ারকে বাদ রাখেননি। মা হওয়ার পর থেকে আরও বেশি সিরিয়াস হয়েছেন কাজের প্রতি।


সাড়ে তিন বছর আগে জন্ম হয় শুভশ্রীর প্রথম সন্তান পুত্র ইউভানের। তারপর তিনি ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ বা ‘বউদি ক্যান্টিন’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। মাসখানেক আগে তিনি দ্বিতীয়বার মা হয়েছেন। জন্ম হয়েছে তাঁর কন্যা ইয়ালিনির। শুভশ্রী এখন পুরোদস্তুর মমি। এই ‘বউদি ক্যান্টিন’ এবং ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ মুক্তি পাওয়ার পর দারুণ মজা করেছিলেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। একজন অনুগামী শুভশ্রীকে দেখলে কী করে, তা তিনি অভিনয় করে দেখিয়েছিলেন। ভিডিয়োতে দেখতে পাওয়া যায় গাড়ির মধ্যে বসে আছেন অঙ্কুশ। ভিডিয়ো রেকর্ডিং করছেন শুভশ্রী। তিনি গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে। শুভশ্রীকে অঙ্কুশ বলেছেন, “ওমা দিদি আপনি মেকআপ ছাড়া।” শুভশ্রী বলেন, “আপনি কি আমার ভক্ত? আপনি তো ফালতু ভক্ত।” তারপর অঙ্কুশ বলেন, “আমি আপনার সব ছবি দেখেছি। সম্প্রতি ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ এবং ‘বউদি ক্যান্টিন’ দেখে চোখ ফেরাতে পারিনি। সেই ছোট্টবেলা থেকে আপনার ছবি দেখছি। যখন আপনার প্রথম ছবি মুক্তি পায়।”

৩৪ বলে প্রথমে অর্ধশতরান করেন রিয়ান পরাগ। তারপর তাঁর ব্যাটিংয়ের ঝাঁঝ আরও বেড়ে যায়। অসমের অলরাউন্ডার যে মারমুখী মেজাজে রয়েছেন, তা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। সামনে কোন বোলার রয়েছে, তাতে যেন নিজের ব্যাটিংয়ে কোনও তফাত না হয় সেই ছন্দে ব্যাট করছিলেন পরাগ।


 ৪, ৪, ৬, ৪, ৬! শেষ ওভারে তাণ্ডব, আইপিএলে পুনর্জন্ম রিয়ান পরাগের
৪, ৪, ৬, ৪, ৬! শেষ ওভারে তাণ্ডব, আইপিএলে পুনর্জন্ম রিয়ান পরাগের


কলকাতা: রাজস্থান রয়্যালস পেয়ে গিয়েছে তাদের নতুন হিরোকে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে একটা সময় রাজস্থান রয়্যালস ৩৬ রানে ৩ উউকেট হারিয়ে ফেলে। যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলারের মতো ক্রিকেটারদের যখন ফিরিয়েছেন মুকেশ কুমার, কুলদীপ যাদবরা সেই সময় দলের হার ধরেন রিয়ান পরাগ। সেখান থেকে শেষ অবধি ৫ উইকেটে ১৮৫ রান তুলে মাঠ ছাড়ে পিঙ্ক আর্মি। নেপথ্যে রাজস্থানের হিরো রিয়ান পরাগ (Riyan Parag)। তিনি অবশ্য শুধু এই ম্যাচেই নজর কাড়লেন তেমনটা নয়। লখনউয়ের বিরুদ্ধেও আইপিএলে (IPL) রাজস্থানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন পরাগ। এ বার দিল্লির বিরুদ্ধে শেষ ওভারে ব্যাটিং তাণ্ডব দেখালেন পরাগ। যা দেখে চুপ থাকতে পারলেন না স্কাইও।

৩৪ বলে প্রথমে অর্ধশতরান করেন রিয়ান পরাগ। এটি তাঁর আইপিএল কেরিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। তারপর তাঁর ব্যাটিংয়ের ঝাঁঝ আরও বেড়ে যায়। অসমের অলরাউন্ডার যে মারমুখী মেজাজে রয়েছেন, তা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। সামনে কোন বোলার রয়েছে, তাতে যেন নিজের ব্যাটিংয়ে কোনও তফাত না হয় সেই ছন্দে ব্যাট করছিলেন পরাগ।

দিল্লির হয়ে আজ বল করেছিলেন প্রোটিয়া তারকা অনরিখ নর্টজে। পিঙ্ক আর্মির শেষ ওভারে দিল্লির নেতা ঋষভ পন্থ তাঁর হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন। এক্কেবারে আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা রিয়ান পরাগ কোনও তোয়াক্কা না করেই ব্যাটিং তাণ্ডব দেখান শেষ ওভারে। ২০তম ওভারে ২৫ রান একাই তোলেন পরাগ। শেষ ওভারে পরপর ২টি চার মারেন। এরপর ওভারের তৃতীয় বলে ১টি ছয়, চতুর্থ বলে একটি চার এবং পঞ্চম বলে ফের ছয় মারেন রিয়ান। আর শেষ বলে সিঙ্গল নিয়ে ইনিংস শেষ করেন। ৪৫ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংসের পথে রিয়ান পরাগের ব্যাটে এসেছে ৭টি চার ও ৬টি ছয়। স্ট্রাইকরেট ১৮৬.৬৬।

রিয়ান পরাগের অনবদ্য ব্যাটিং দেখে প্রশংসায় ভরিয়েছেন ভারতের তারকা ক্রিকেটার সূর্যকুমার যাদব। সোশ্যাল মিডিয়া সাইট X এ সূর্যকুমার যাদব লেখেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে একটা ছেলের সঙ্গে এনসিএতে দেখা হয়েছিল। একটু চোট নিয়ে এসেছিল ওখানে। নিজের রিহ্যাবে পুরো ফোকাস ছিল ওর। দক্ষতাও ছিল দেখার মতো। এবং সেখানকার একজন কোচকে আমি বলেছিলাম, ও বদলে গিয়েছে। আর সেটা ভুল বলিনি আমি। রিয়ান পরাগ ২.০। নজর রাখুন সকলে।’


জয়পুরে রাজস্থান বনাম দিল্লির ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং ফোর্সড রিভিউ সিস্টেম। কী এমন হল যে এই শব্দ হঠাৎ ট্রেন্ডিংয়ে? তা হলে বিষয়টা পরিষ্কার করে বলা যাক। জয়পুরে সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থানের বিরুদ্ধে আইপিএল ম্যাচে দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) কাছে ডিআরএস নেওয়ার আবেদন নিয়ে হাজির হন নাছোড়বান্দা কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)।


 পন্থের কাছে DRS এর আবেদন নিয়ে হাজির নাছোড়বান্দা কুলদীপ, তারপর...


 ভিডিয়ো: পন্থের কাছে DRS এর আবেদন নিয়ে হাজির নাছোড়বান্দা কুলদীপ, তারপর...


কলকাতা: ডিআরএস যার অর্থ ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম। জয়পুরে রাজস্থান বনাম দিল্লির ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং ফোর্সড রিভিউ সিস্টেম। কী এমন হল যে এই শব্দ হঠাৎ ট্রেন্ডিংয়ে? তা হলে বিষয়টা পরিষ্কার করে বলা যাক। জয়পুরে সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থানের বিরুদ্ধে আইপিএল ম্যাচে দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) কাছে ডিআরএস নেওয়ার আবেদন নিয়ে হাজির হন নাছোড়বান্দা কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)। সেই সময় ক্রিজে ছিলেন জস বাটলার। ঘটনাটি ঘটে পাওয়ার প্লে-র ঠিক পরই। জোর করে ঋষভকে রিভিউ নিতে বাধ্য করেব কুলদীপ। সেই সময় যা হয়েছিল, সেই ভিডিয়ো ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

রাজস্থানের ইনিংসের অষ্টম ওভারে বল করতে আসেন চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদব। পিঙ্ক আর্মির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জস বাটলার। ৭.২ ওভারে কুলদীপ যাদব এলবিডব্লিউয়ের আবেদন জানান। আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি। এরপর কুলদীপ সময় নষ্ট না করে সোজা ঋষভ পন্থের কাছে পৌঁছে যান। এবং তাঁর হাত দিয়ে রিভিউ নেওয়ার ভঙ্গি করতে থাকেন। কুলদীপ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে বাটলার আউট। ওই সময় কুলদীপের কাণ্ড দেখে হেসে ফেলেন পন্থ। এরপর হাসতে হাসতে তিনি ডিআরএস নেন। রিভিউতে দেখা যায় বাটলার আউট। খুশির হাওয়া বয়ে যায় দিল্লি শিবিরে।

ভাগ্যিস কুলদীপ এগিয়ে এসে ঋষভকে জোর করেছিলেন রিভিউ নেওয়ার জন্য। তাই বাটলার ১৬ বলে ১১ রান করে মাঠ ছাড়েন। তা না হলে ইংল্যান্ডের তারকা ওপেনারের ব্যাটে বড় রান আসতেও পারত। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিয়ো এবং কুলদীপ ও পন্থের ছবি ভাইরাল হয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালসের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট X এও সেই ছবি শেয়ার করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘রিভিউ নেওয়ার স্টাইল একটু ক্যাজুয়াল ছিল, কেডি ভাই।’ ওই পোস্টের কমেন্টে অনেকে লিখেছেন, ‘ফোর্স রিভিউ সিস্টেম’, ‘কুলদীপ রিভিউ সিস্টেম।’