WEATHER

Top News



কখনও কফি উইথ করণ টক-শো-য়ে উপস্থিতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় রণবীর কাপুরকে, কখনও আবার প্রকাশ্যে ভরা সভার মাঝে করণের ওপর চিৎকার করতে তিনি দু’বার ভাবেন না। ঠিক এমনই এক ছবি ধরা পড়ল...

'আমি কালা নই', সকলের সামনে করণের ওপর মেজাজ হারান রণবীর, তারপর

রণবীর কাপুর ও কারণ জোহার, এক কথায় বলতে গেলে তাঁরা যেন পারিবারিক বন্ধু। রণবীর কাপুরের স্ত্রী আলিয়া ভাট, করণ জোহারকে পরিবারের একজনই মনে করেন। কিন্তু রণবীর সঙ্গে করণ জোয়ারের সম্পর্ক মাঝেমধ্যেই বিগড়ে যেতে দেখা যায়। কখনও কফি উইথ করণ টক-শো-য়ে উপস্থিতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় রণবীর কাপুরকে, কখনও আবার প্রকাশ্যে ভরা সভার মাঝে করণের ওপর চিৎকার করতে তিনি দু’বার ভাবেন না। ঠিক এমনই এক ছবি ধরা পড়ল সম্প্রতি ফিল্ম ফেয়ারের মঞ্চে। কিছুদিন আগেই ফিল্ম ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল, যেখানে মঞ্চে থাকা করণ জোহার আচমকাই রণবীর কাপুরের ব্যবহারের অবাক হয়ে যান।


ঠিক কী ঘটেছিল সেই সন্ধ্যায়, তারই এক ক্লিপিং নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। যেখানে দেখা যায় করণ জোহার বারবার বলছেন এটা রণবীরের পক্ষেই সম্ভব, এটা রণবীরই পারেন এটা, রণবীরই পারেন, রণবীর ছাড়া এ কাজ আর কেউ করতে পারবে না, বারবার যখন একই কথা করেন বলতে থাকছিলেন তখন মুহূর্তে দর্শক আসনে বসে থাকার রণবীর কাপুরের মুখের অবয়ব পাল্টাতে দেখা যায়। ক্রমে রেগে যাচ্ছিলেন তিনি। একটা সময় আচমকাই মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে রণবীর চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘শুনতে পাই বধির নই আমি।’ কী? সংলাপটা খুব চেনা চেনা লাগছে তো, ২০২৩ সালের শেষে সর্বাধিক চর্চিত জনপ্রিয় সুপার হিট ছবি অ্যানিমেল-এর বিখ্যাত সংলাপ।


তবে দর্শনে বসে হঠাৎ কেন এই কথা মেজাজ হারিয়ে বলে উঠলেন রণবীর তা নিয়ে প্রশ্ন নেটিজেনদের। কেউ কেউ বললেন এটা পাবলিসিটি স্ট্যান্ড, কেউ আবার করণ-রণবীরের বচসা এই প্রসঙ্গে টেনে আনলেন। বিভিন্ন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কিংবা রিয়ালিটি শোতে সেলেবদের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটতে বহুবার দেখা গিয়েছে। নিঃসন্দেহে কিছু পাবলিসি স্টান্ট দর্শকদের নজর করার জন্য কিংবা, সেই মুহূর্তে একটা গুরুগম্ভীর পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য চিত্রনাট্যের অংশ হয়ে থাকে, পরে স্টারেরাই হাসির ছলে, যা স্পষ্ট করে দেন। আবার কখনও কখনও সেই অশান্তির রেশ থেকে যায় বছরের পর বছর যা সত্যি চিত্রনাট্যের অংশ থাকে না। এক্ষেত্রে ঠিক কোনটা ঘটেছে সে প্রশ্নের উত্তর মেলা ভার।



 ভাল চরিত্র পেলে সায়ন্তিকা আবারও ফিরতে রাজি। রাজনীতি ও অভিনয় দুই পাকা হাতে সামলাচ্ছেন এমন বহু উদাহরণ বাংলার বুকে রয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন সায়ন্তিকা। তবে তাঁর ঝুলিতে ছবির সংখ্যা এখন নেই বললেই চলে।

'আমার সঙ্গে এটা ঘটে', নিজেকে হঠাৎ কেন ট্যালা বললেন সায়ন্তিকা?


সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে সিনেপাড়া থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছেন তিনি। একের পর এক হিট ছবি একটা সময় যিনি টলিপাড়ার দর্শকের উপহার দিয়েছেন, তিনি আজ কোথায়? মাঝে মধ্যে বিভিন্ন কনসার্টে দেখা যায় তাঁকে, বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করতে যান সায়ন্তিকা। পাশাপাশি নাম লিখিয়েছেন রাজনীতির ময়দানে। ভাল চরিত্র পেলে সায়ন্তিকা আবারও ফিরতে রাজি। রাজনীতি ও অভিনয় দুই পাকা হাতে সামলাচ্ছেন এমন বহু উদাহরণ বাংলার বুকে রয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন সায়ন্তিকা। তবে তাঁর ঝুলিতে ছবির সংখ্যা এখন নেই বললেই চলে। বর্তমানে আবারও তিনি ভোটযুদ্ধে। বরানগর থেকে বিধায়ক পদের উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তিনি।


তবে এই অভিনেত্রীকে নিয়ে এক মজার গল্প রয়েছে সিনেপাড়ায়। যেখানে তাঁকে নিয়ে বেজায় এক রটনা রয়েছে, যে তিনি নাকি যখন তখন পড়ে যান। সত্যি কি তাই, একবার অপুর সংসার-এ এই মর্মে প্রশ্ন করেছিলেন সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। তিনি সায়ন্তিকাকে প্রশ্ন করেছিলেন সত্যি কি তিনি পড়ে যান? উত্তরে সায়ন্তিকা বলেছিলেন যখন-তখন। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে যাই। শুকনো মাটিতে পড়ে যাই। কখনও বেশি সাবধান হতে গিয়ে পড়ে যাই।


শুনে হেসে ফেলেছিলেন শাশ্বত। বিশ্বাস করতে পারছিলেন না সায়ন্তিকা সত্যি এমন কথা বলছেন। তবে তিনি নিজে মুখেই বলেছিলেন, আমি এটকু ‘ট্যালা’। হাসতে হাসতে শাশ্বত বলেছিলেন, আচ্ছা বুঝলাম, মানে যিনি একটু সহজেই টেলে যেতে পারেন। সেই কারণেই তাঁকে নাকি অনেক মজার মজার নামেও ডাকা হয়।

শুক্রবার থেকেই অনুশীলনে নামছে মোহনবাগান। হাতে যদিও এখন বেশ কিছুদিন সময় আছে সেমিফাইনালের। ২৩ তারিখ পরবর্তী ম্যাচ শুভাশিসদের। তার আগে প্রতিপক্ষকে টিভিতেই মেপে নেবেন হাবাস। ফুটবলারদের ছুটিও বাতিল করে দিয়েছেন বাগান কোচ। রবিবার পর্যন্ত ছুটি চেয়েছিলেন মুম্বই ম্যাচের গোলদাতা জেসন কামিংস আর আর্মান্দো সাদিকু। তাঁদের ছুটি বাতিল করে দিয়েছেন হাবাস।

কামিংসদের ছুটি বাতিল, শুক্রবার থেকেই অনুশীলনে মোহনবাগান

লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহনবাগান। প্রথম বার এই খেতাব জয় করেছে সবুজ-মেরুন শিবির। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার ছাড়পত্রও জোগার করে ফেলেছে মোহনবাগান। তবে এখনই সেলিব্রেশনে ভাসতে নারাজ বাগান শিবির। ত্রিমুকুট জয়ের সুযোগ বাগানের সামনে। আর তাতেই ফোকাস সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের। তাই সেলিব্রেশন পর্ব আপাতত তুলে রাখছে মোহনবাগান। কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসেরও স্পষ্ট নির্দেশ। উচ্ছ্বাসে গা ভাসালে চলবে না।

শুক্রবার থেকেই অনুশীলনে নামছে মোহনবাগান। হাতে যদিও এখন বেশ কিছুদিন সময় আছে সেমিফাইনালের। ২৩ তারিখ পরবর্তী ম্যাচ শুভাশিসদের। তার আগে প্রতিপক্ষকে টিভিতেই মেপে নেবেন হাবাস। ফুটবলারদের ছুটিও বাতিল করে দিয়েছেন বাগান কোচ। রবিবার পর্যন্ত ছুটি চেয়েছিলেন মুম্বই ম্যাচের গোলদাতা জেসন কামিংস আর আর্মান্দো সাদিকু। তাঁদের ছুটি বাতিল করে দিয়েছেন হাবাস। শুক্রবার থেকেই সবাইকে অনুশীলনে নামতে হবে। স্পষ্ট নির্দেশ স্প্যানিশ কোচের।

এদিকে বহুপ্রতীক্ষিত লিগ শিল্ডের এখনও দেখা নেই। কোথায় আছে সেই ট্রফি বা শিল্ড তা কেউ জানেনা। সোমবার মোহনবাগান দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ফুটবলাররা খালি হাতেই চলে যান টিম হোটেলে। আলাদা গাড়িতে যায় লিগ শিল্ড। বাগান সচিব দেবাশিস দত্তর যুক্তি, ‘প্রতি বারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আমাদের ট্রফি আলাদা গাড়িতে যায়। এখনও আমাদের ম্যাচ শেষ হয়নি। সেলিব্রেশন পর্ব তাই তুলে রাখা হয়েছে। লিগ শিল্ড অনেক দামী। সমর্থকদের ভিড়ের মাঝখান দিয়ে গেলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মহমেডানের আই লিগের ট্রফি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্লাবে সঠিক সময়ে শিল্ড আসবে। সমর্থকরাও দেখতে পারবে।’


আইপিএল 2024: বিশাল রান তাড়ায় পাওয়ার প্লে-তেই যশস্বী জয়সওয়াল ও সঞ্জু স্যামসনের উইকেট হারায় রাজস্থান। আন্দ্রে রাসেলের অনবদ্য ক্যাচে রিয়ান পরাগকে ফেরান হর্ষিত রানা। ইনিংসের ১৩তম ওভারে পরপর অশ্বিন ও রাজস্থানের গত ম্যাচের নায়ক শিমরন হেটমায়ারের উইকেট নেন মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। ১২১ রানে ৬ উইকেট হারালেও রাজস্থানের ভরসা ছিলেন জস বাটলার।

সুনীলের স্বপ্নপূরণ, জসের অবিশ্বাস্য 'বাটলারি'-তে হার নাইট রাইডার্সের

 গম্ভীর ফিরতেই যেন অন্য রূপে পাওয়া গিয়েছে সুনীল নারিনকে। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই মুগ্ধ করছেন। অবশেষে স্বপ্নপূরণও হল সুনীল নারিনের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে কেরিয়ারে ৫০০-র বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন সুনীল নারিন। বিভিন্ন দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও খেলেন। কিন্তু সেঞ্চুরির কলামে শূন্য ছিল তাঁর। এ মরসুমে একটি ৮৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সেটিই ছিল টি-টোয়েন্টিতে তাঁর সর্বাধিক স্কোর। অবশেষে ইডেনে সেঞ্চুরির অভিযান ‘মঙ্গল’ হল সুনীল নারিনের।


ক্যারিবিয়ান ক্যালিপসো সকলেরই জানা। ইডেনে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের দাপটে কলকাতায় ক্য়ালিপসো। কলকাতার প্রচণ্ড গরম। তার মধ্যেই স্বপ্নপূরণ সুনীলের। কেরিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি এল তাঁর ব্য়াটে। টস জিতে কেকেআরকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন টেবল টপার রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ওপেনিং পার্টনার ফিল সল্টকে চতুর্থ ওভারেই হারান সুনীল নারিন। তাঁর দাপট থামেনি।

সুনীল নারিনের ৫৬ বলে ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, অঙ্গকৃশ রঘুবংশী, রিঙ্কু সিংদের ক্যামিও। রাজস্থান রয়্যালসকে ২২৪ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটিং বিভাগ দুর্দান্ত। কেকেআরের বিরুদ্ধে জস বাটলার ছাড়া টপ অর্ডার ব্যর্থ। বাটলারকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামানো হয়েছিল। তিনিই ইমপ্যাক্ট ফেললেন।


বিশাল রান তাড়ায় পাওয়ার প্লে-তেই যশস্বী জয়সওয়াল ও সঞ্জু স্যামসনের উইকেট হারায় রাজস্থান। আন্দ্রে রাসেলের অনবদ্য ক্যাচে রিয়ান পরাগকে ফেরান হর্ষিত রানা। ইনিংসের ১৩তম ওভারে পরপর অশ্বিন ও রাজস্থানের গত ম্যাচের নায়ক শিমরন হেটমায়ারের উইকেট নেন মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। সেঞ্চুরির পর বল হাতেও অনবদ্য সুনীল নারিন। ধ্রুব জুরেলের উইকেট নেন তিনি। ১২১ রানে ৬ উইকেট হারালেও রাজস্থানের ভরসা ছিলেন জস বাটলার।

শেষ ৫ ওভারে রাজস্থানের প্রয়োজন ছিল ৭৯ রান। বাটলারের সঙ্গে ক্রিজে রোভম্যান পাওয়েল। ম্যাচ তখনও পুরোপুরি কেকেআরের নিয়ন্ত্রণে বলা যায়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন রোভম্যান পাওয়েল বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করলেও তাঁকে দ্রুতই ফেরান নারিন। কিন্তু বাটলার তখনও ক্রিজে। সেটাই ভয়ের কারণ ছিল কেকেআরের। ফিল সল্টের মিস ফিল্ডিংয়ে রাজস্থানের সুবিধা হয়। ১২ বলে মাত্র ২৪ রানের টার্গেট দাঁড়ায় রাজস্থানের।

জস বাটলার যে একাই ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন, এ মরসুমে টের পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দলকে জিতিয়েছিলেন। ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সও তাঁর দাপটের শিকার। শেষ ওভারে ৯ রান টার্গেট দাঁড়ায় রাজস্থানের। বোলিংয়ে বরুণ চক্রবর্তী। প্রথম বলেই ছয় মেরে ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের। টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি। তিনটি ডট বলে চাপে পড়ে রাজস্থান। ২ বলে ৩ রান লক্ষ্য দাঁড়ায়। ডাবল নিয়ে স্কোর সমান করেন বাটলার।

শেষ বলে ১ রান প্রয়োজন। মিস করলেই সুপার ওভার। তবে সেটা হল না। আইপিএলে যুগ্মভাবে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল রাজস্থান রয়্যালস। মিডল ওভারে অনবদ্য ভাবে ম্যাচে থাকলেও বাটলারের কাছে হার কেকেআরের। বাটলারের ৬০ বলে ১০৭ রানের অপরাজিত অবিশ্বাস্য ইনিংসে ২ উইকেটে জয় রাজস্থানের।


শ্রেয়স আইয়ার বলেন, 'হঠাৎ সব কী হল বুঝে উঠতে পারছি না। এই হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে। মাথা উঁচু করে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আপাতত বলতে পারি, আমরা ভালো বোলিং করেছি। ছোট্ট কিছু ভুলে এই পরিণতি হল।' সেই ছোট্ট ভুলটা কি ফিল সল্টের ফিল্ডিং মিস বলা যায়? ওয়াইড বল, মিস ফিল্ডে পাঁচ রান এবং অতিরিক্ত একটি ডেলিভারি খেলার সুযোগ পায় রাজস্থান। হতে পারে, সেটাই সেই ছোট্ট ভুল!

এমনটা হবে ভাবিনি...', কাঁধ ঝুঁকে গেল নাইট অধিনায়কের!


আইপিএলের ইতিহাসে এর আগে ২২৪ রান তাড়া করে জেতার নজির ছিল। একই স্কোর তাড়া করে জিতল রাজস্থান রয়্যালস। ইডেন গার্ডেন্সে অবিশ্বাস্য একটা ইনিংস জস বাটলারের। বোর্ডে রান। শুরু থেকে অনবদ্য বোলিং। কেকেআর আরও একটা জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। সেই স্বপ্ন উসকে দেন বরুণ চক্রবর্তী। ইনিংসের ১৩ তম ওভারে পরপর দু-বলে দু-উইকেট। ১২১ রানে ৬ উইকেট। এরপর ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই থাকার কথা।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি টিমের ক্যাপ্টেন রোভম্যান পাওয়েল ক্রিজে যোগ দেন বাটলারের সঙ্গে। প্রচণ্ড গরমে টান ধরেছিল সুনীল নারিনের। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠে ফেরেন। ইডেনে এ মরসুমে নারিনের বিরুদ্ধে কেউ বাউন্ডারি মারতে পারছিলেন না। সেটাই করে দেখান পাওয়েল। শেষ অবধি নারিনের বলেই আউট হন। কেকেআর শিবিরকে তবু চাপে রাখেন জস বাটলার। আশঙ্কাই সত্যি হয়। অবিশ্বাস্য ইনিংসে শেষ বলে রাজস্থানকে জেতান জস বাটলার।

ম্যাচ শেষে কাঁধ ঝুঁকে গিয়েছে নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের। প্রচণ্ড গরমে ক্লান্ত। সঙ্গে এত বড় স্কোর গড়েও হারের ক্লান্তি। শ্রেয়স বলছেন, ‘এটা মেনে নেওয়া কঠিন। আবেগ ধরে রাখা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে পড়ব ভাবিনি। ক্রিকেট যে কতটা অনিশ্চয়তার খেলা, আরও একবার বোঝা গেল।’ রোভম্যান পাওয়েল আউট হওয়ার পর কি নাইট শিবিরে বিশ্বাস ছিল জেতা সম্ভব?


শ্রেয়স আইয়ার বলেন, ‘হঠাৎ সব কী হল বুঝে উঠতে পারছি না। এই হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে। মাথা উঁচু করে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আপাতত বলতে পারি, আমরা ভালো বোলিং করেছি। ছোট্ট কিছু ভুলে এই পরিণতি হল।’ সেই ছোট্ট ভুলটা কি ফিল সল্টের ফিল্ডিং মিস বলা যায়? ওয়াইড বল, মিস ফিল্ডে পাঁচ রান এবং অতিরিক্ত একটি ডেলিভারি খেলার সুযোগ পায় রাজস্থান। হতে পারে, সেটাই সেই ছোট্ট ভুল!

বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডিস্ট্রিক রিজার্ভ গার্ড ও বিএসএফ যৌথ অভিযান চালিয়েছিল কঙ্কের জেলার বিনাগুন্ডা গ্রামের কাছের জঙ্গলে। জঙ্গলে গভীরে ঢুকতেই নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে হামলা করে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা। গুলির পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনীও। শুরু হয় সংঘর্ষ।

গোটা দেশকে নকশালমুক্ত করা হবে', ২৯ মাওবাদী নিকেশের পর আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
কঙ্কেরের জঙ্গলে অভিযান।

লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই বড় সাফল্য। ছত্তীসগঢ়ে এনকাউন্টার অভিযানে নিকেশ ২৯ মাওবাদীর। মৃত্যু হয়েছে মাওবাদী নেতা শঙ্কর রাওয়ের, যার মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। মঙ্গলবার দুপুরে ছত্তীসগঢ়ের কঙ্কের জেলায় মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় নিরাপত্তা বাহিনীর। টানা ৫ ঘণ্টা ধরে এনকাউন্টার চলার পর ২৯ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয় জঙ্গল থেকে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক-৪৭, ইনসাস রাইফেল সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।


বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডিস্ট্রিক রিজার্ভ গার্ড ও বিএসএফ যৌথ অভিযান চালিয়েছিল কঙ্কের জেলার বিনাগুন্ডা গ্রামের কাছের জঙ্গলে। জঙ্গলে গভীরে ঢুকতেই নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে হামলা করে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা। গুলির পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনীও। শুরু হয় সংঘর্ষ। টানা ৫ ঘণ্টা ধরে জঙ্গলের মধ্যে চলে এনকাউন্টার।অভিযান শেষে জানা যায়, মোট ২৯ জন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে। আহত হয়েছে দুই বিএসএফ জওয়ান সহ মোট তিনজন। দুইজনের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও, ডিআরজির সদস্যের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁদের এয়ারলিফ্ট করে রায়পুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই প্রথম কোনও হতাহত ছাড়াই এনকাউন্টার অভিযানে এত বড় সাফল্য মিলল। গ্রামবাসীদের সহযোগিতা ও পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনীর তৎপরতায় এই অভিযানে সাফল্য মিলেছে। অপারেশনে স্যাটেলাইট ছবি ছাড়াও, নকশালদের গতিবিধি ক্রমাগত ট্র্যাক করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। এছাড়াও এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়।


এনকাউন্টার অভিযানে সাফল্যের খবর পেয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে অভিনন্দন জানিয়ে লেখেন, “আজ ছত্তীসগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে বিপুল সংখ্যক নকশাল নিহত হয়েছে। আমি সমস্ত নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের অভিনন্দন জানাই, যারা সাহসিকতার সঙ্গে এই অপারেশন সফল করেছে। যারা আহত হয়েছেন, তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। উন্নয়ন, শান্তি ও তরুণদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় শত্রু নকশালবাদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমরা দেশকে নকশালবাদের কবল থেকে মুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। সরকারের আক্রমণাত্মক নীতি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টার কারণে আজ নকশালবাদ সীমিত হয়েছে। শীঘ্রই ছত্তীসগঢ় এবং গোটা দেশকে সম্পূর্ণ নকশালমুক্ত হবে।”

আজ বুধবার অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল রাম নবমী। রাম নবমী উপলক্ষে অযোধ্যার রাম মন্দিরে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রামনবমীর দিন প্রায় ২৫ লক্ষ ভক্তের সমাগম হতে পারে। রামলালার দর্শন পেতে অযোধ্যায় আসতে পারেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। তাদের জন্য ভোর থেকেই মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে।

 রাম নবমীতে প্রথম সূর্যাভিষেক রামলালার, ক'টার সময়, কীভাবে হবে, জানুন বিস্তারিত


অযোধ্যা: ৫০০ বছরের অপেক্ষার পর ঘরে ফিরেছেন রামলালা। অযোধ্যায় তৈরি হয়েছে রাম মন্দির। সেখানে অধিষ্ঠিত হয়েছেন পাঁচ বছরের বালক রূপে রামলালা। আজ রাম নবমী। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার পর এটাই প্রথম রাম নবমী। আর এই রাম নবমীই বিশেষ হয়ে উঠবে রামলালার সূর্য অভিষেকের মাধ্যমে। কী এই সূর্য অভিষেক জানেন?

রামলালার সূর্যাভিষেক ও সূর্য তিলক-
সূর্য অভিষেক শব্দটি এসেছে সূর্য ও অভিষেক (বিশুদ্ধিকরণ) থেকে। আজ রামলালার কপালে বসানো হবে সূর্য তিলক, যেখানে সরাসরি সূর্য কিরণ পড়বে এবং সেই কিরণ ঠিকরে পড়ে গোটা রাম মন্দির আলোকিত হবে। রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের তরফে রামলালার প্রথম সূর্য অভিষেক নিয়ে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার দুপুর ১২টা ১৬ মিনিটে শ্রী রামের কপালে সূর্য তিলকের উপরে সূর্যের রশ্মি পড়বে। সূর্য অভিষেকের জন্য বিশেষ আয়নাও প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

রাম নবমী উপলক্ষে বিশেষ প্রস্তুতি-
আজ বুধবার অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল রাম নবমী। রাম নবমী উপলক্ষে অযোধ্যার রাম মন্দিরে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রামনবমীর দিন প্রায় ২৫ লক্ষ ভক্তের সমাগম হতে পারে। রামলালার দর্শন পেতে অযোধ্যায় আসতে পারেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। তাদের জন্য ভোর থেকেই মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, রাম নবমীর দিন মঙ্গলা আরতির পর ভোর সাড়ে তিনটা থেকে মন্দির খুলে দেওয়া হবে। রামলালার শুদ্ধিকরণ, অলঙ্করণ ও দর্শন চলবে। রাত ১১টা পর্যন্ত দেখা যাবে রামলালাকে। অর্থাৎ ১৯ ঘণ্টা মন্দিরের দরজা খোলা থাকবে রামলালার দর্শনের জন্য। রামলালাকে খাবারের নিবেদনের সময় মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য পর্দা বন্ধ থাকবে। এরপরে, ভক্তরা আবার রামলালার দর্শন করতে পারবেন।

জানা গিয়েছে, রামলালার যখন সূর্য অভিষেক হবে, তখন পুরো মন্দির চত্বরে ভগবান রামের মন্ত্র ও স্তুতি জপ করা হবে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে শ্রী রামের জন্ম হয়েছিল। রাম নবমী উপলক্ষে রাম মন্দিরে আগত ভক্তদের মধ্যে ১ লক্ষ ১১ হাজার ১১১ লাড্ডু প্রসাদ বিতরণ করা হবে। দেবরাহা হংস বাবা ট্রাস্টের তরফে এই লাড্ডু পাঠানো হয়েছে।

 এ প্রসঙ্গে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেছেন, "আরাবুল ইসলামকে দলের কনভেনার করেছিলাম। এখন তিনি জেলে। এখন দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে ও ভাঙড়ের যাঁরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন তাঁদের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে আমরা এই নির্বাচন করছি।

ভোটের আগে আরাবুলকে ছেঁটে ফেলল TMC
পদ থেকে সরলেন আরাবুল


ভাঙড়: এক সময়ের ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা ছিলেন আরাবুল ইসলাম। বর্তমানে জেলবন্দি তিনি। এবার সেই আরাবুলকে ছাড়াই লোকসভা নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক (কনভেনর) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল আরাবুল ইসলামকে। দাপুটে এই তৃণমূল নেতা যে ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক নেই সেই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শাসক দলের পক্ষ থেকে।


এ প্রসঙ্গে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেছেন, “আরাবুল ইসলামকে দলের কনভেনার করেছিলাম। এখন তিনি জেলে। এখন দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে ও ভাঙড়ের যাঁরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন তাঁদের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে আমরা এই নির্বাচন করছি। এখন আরাবুল ইসলাম দলের কোনও পদে নেই। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রয়েছেন। আমি আশা করি উনি ভবিষ্যতে দলের অনুগত সদস্য হয়েই কাজ করবেন। আর যদি তা না করেন পরবর্তী পদক্ষেপ দল থেকে নেওয়া হবে।”


প্রসঙ্গত, আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লার খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন আরাবুল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ আরাবুলকে গ্রেফতার করে। মাধে বিতর্ক বেঁধেছিল, যখন জানা যায়, আরাবুলের আইনজীবী আদালতে বলেন, শওকত মোল্লার অঙ্গুলিহেলনেই পুলিশ অতি সক্রিয়। যদিও, শওকত নিজে বলেছিলেন আরাবুল এই রকম অভিযোগ করতে পারেন তিনি মানেন না। উল্লেখ্য, তৃণমূলের একদম জন্মলগ্ন থেকে আরাবুল দলের সঙ্গে আছেন। ২০০৬ সালে তিনি ভাঙড়ে জিতে বিধায়ক হন। তারপর থেকে কখনও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কখনও সহ সভাপতি হয়েছেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরাবুল। বর্তমানে তাঁর অনুপস্থিতিতে এখন ভাঙড়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দলের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা।




বাংলায় কড়া টক্কর, উত্তর প্রদেশ, গুজরাটে গেরুয়া ঝড়, কংগ্রেস কি খাতা খুলতে পারবে? কী বলছে জনমত সমীক্ষা


সমীক্ষায় স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে উত্তর প্রদেশে ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে এনডিএ ৬৮টি আসন দখল করতে চলেছে। এর মধ্যে বিজেপি একাই ৬৪টি আসনে জয় পেতে পারেন। সেখানেই ইন্ডিয়া জোট মাত্র ১২টি আসনে জয়ী হতে পারে।

বাংলায় কড়া টক্কর, উত্তর প্রদেশ, গুজরাটে গেরুয়া ঝড়, কংগ্রেস কি খাতা খুলতে পারবে? কী বলছে জনমত সমীক্ষা
কেন্দ্রের গদিতে বসবে কে?

নয়া দিল্লি: ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। শুক্রবার থেকেই শুরু লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব। তার আগেই জনমত সমীক্ষায় বড় ইঙ্গিত। এবারেও উঠতে চলেছে গেরুয়া ঝড়। তৃতীয়বারের জন্য় কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি শাসিত এনডিএ। বাংলায় এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে জোর টক্কর দিতে চলেছে বিজেপি। উত্তর প্রদেশ, দিল্লি সহ গোটা উত্তর ভারতে ক্লিন সুইপ চালাবে বিজেপি। এমনটাই এর জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে।


লোকসভা ভোট শুরু হওয়ার ঠিক আগেই দেশের সবচেয়ে বড় জনমত সমীক্ষা নিয়ে এসেছে TV9। Peoples Insight, Polstrat- ২৫ লক্ষ জনগণের মতামত সংগ্রহ করেই এই জনমত সমীক্ষা তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের জনগণের মতামত সংগ্রহ করেই এই ওপিনিয়ন পোল বা জনমত সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। কোনও দলের ফলাফল নিশ্চিতভাবে ঘোষণা করা হয়নি।


এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে এবার এনডিএ (NDA) ৩৬২ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারে। এর মধ্যে বিজেপি একাই ৩১৯টি আসন জিততে পারে। জোটসঙ্গীরা ৪৩টি আসন দখল করতে চলেছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বড় ধাক্কা খাবে ইন্ডিয়া জোট, মাত্র ১৪৯টি আসন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যার মধ্যে মাত্র ৪৯টি আসন কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে। অন্য শরিকি দলগুলি ৩২টি আসন দখল করতে পারে।

উত্তর প্রদেশে গেরুয়া ঝড়-
কথায় আছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের রুট উত্তর প্রদেশের মধ্য দিয়েই যায়। অর্থাৎ উত্তর প্রদেশ যার, কেন্দ্রও তার। সমীক্ষায় স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে উত্তর প্রদেশে ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে এনডিএ ৬৮টি আসন দখল করতে চলেছে। এর মধ্যে বিজেপি একাই ৬৪টি আসনে জয় পেতে পারেন। সেখানেই ইন্ডিয়া জোট মাত্র ১২টি আসনে জয়ী হতে পারে। এর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি একাই ১১টি আসনে জয়ী হতে পারে। একটিও আসনে জিতবে না বহুজন সমাজ পার্টি, এমনটাই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-
এবার পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে। ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি ২০টি আসনে জিততে পারে, তৃণমূলের ঝুলিতে যেতে পারে ২১টি আসন। কংগ্রেস এখানে মাত্র একটি আসনে জিতবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিহারে লালু যাদবের কাছে ধাক্কা-
বিহারে বড় ধাক্কা খেতে পারেন লালু প্রসাদ যাদব। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, লালু প্রসাদ যাদবের দুই কন্যাই পাটলিপুত্র এবং সরান আসনে পিছিয়ে রয়েছেন। পূর্ণিয়া আসনটি নির্দল অর্থাৎ পাপ্পু যাদবের খাতায় যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এনডিএ এখানে ৪০ টি আসনের মধ্যে ৩১ টি দখল করতে পারে। যেখানে ইন্ডিয়া জোট ৮টি আসন পেতে পারে।

দক্ষিণের দুর্গে ভাঙন ধরাবে বিজেপি-
এবার ভারতীয় জনতা পার্টি দক্ষিণেও দুর্গ ভাঙতে চলেছে, বিশেষ করে কেরলে বিজেপি তিনটি আসন পাবে বলে সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে। গত নির্বাচনে বিজেপি এখানে ২০টি আসনের মধ্যে একটি আসনও জিততে পারেনি। এবার, কংগ্রেস এখানে সবচেয়ে বড় দল হয়ে উঠতে পারে, ১১টি আসন জিততে পারে তারা। এছাড়া আইইউএমএল ২টি এবং আরএসপি ১টি আসন জিততে পারে। অন্ধ্র প্রদেশের ২৫ টি আসনের মধ্যে, বিজেপি ২টি আসন জিততে পারে, এখানে বিজেপি টিডিপির সাথে জোট করেছে যারা ৮ টি আসনে জিততে পারে। তেলঙ্গানায় বিজেপি ৭টি আসন পাবে বলে অনুমান, কংগ্রেস ৮টি আসন পেতে পারে।

তামিলনাড়ুতেও খুলবে বিজেপির খাতা-
এবার বিজেপি কর্নাটকের ২৮টি আসনের মধ্যে ২০টি আসন জিততে পারে। জোটসঙ্গী জেডিএস ৩টি আসনে জিততে পারে। কংগ্রেস এখানে ৫টি আসন জিতবে বলে মনে করা হচ্ছে। একইভাবে, তামিলনাড়ুর ৩৯টি আসনের মধ্যে, বিজেপি ২টি আসন জিততে পারে, এখানে ডিএমকে ১৮টি আসন নিয়ে বৃহত্তম দল হয়ে উঠছে, যেখানে কংগ্রেস ৯টি আসন পেতে পারে।

অসম-ওড়িশায় কি উঠবে গেরুয়া ঝড়?
জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, অসমের ১৪টি আসনের মধ্যে ১১টি আসনে জয়ী হচ্ছে কংগ্রেস। জরিপে দেখা যায়, এজিপি পাচ্ছে ১টি আসন এবং অন্যরা পাচ্ছে ১টি আসন। ওড়িশা ২১টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৪টি আসন পেতে পারে, বিজেডি ৬টি আসন এবং কংগ্রেস ১টি আসন পেতে পারে।

ঝাড়খণ্ড-ছত্তীসগঢ়ে বিজেপির ক্লিন সুইপ-
এবার ভারতীয় জনতা পার্টি ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসে ঝড় তুলবে, বিশেষ করে ঝাড়খণ্ডের ১৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১২টি আসন জিততে পারে। ছত্তীসগঢ়ের ১১টি আসন দখল করতে পারে বিজেপি। এখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও হেরে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

পঞ্জাব সাফ আপের ঝাড়ুতে- 
এবার পঞ্জাবে আম আদমি পার্টি ৮টি লোকসভা আসন নিয়ে এগিয়ে থাকতে পারে। ভারতীয় জনতা পার্টির জন্যও সুখবর রয়েছে। এবার বিজেপি ৪টি আসন জিততে পারে, শিরোমণি অকালি দল এখানে মাত্র ১টি আসন জিততে পারে। এবার পঞ্জাবের জলন্ধর আসন বিজেপির খাতায় যাবে বলে মনে হচ্ছে। হেরে যেতে পারেন কংগ্রেস প্রার্থী চরণজিৎ সিং চান্নি।

হিমাচল-উত্তরাখণ্ড, দিল্লিতে কংগ্রেস সাফ-
হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে বিজেপি উড়িয়ে দিতে পারে কংগ্রেসকে। হিমাচলের ৮টি এবং উত্তরাখণ্ডের ৫টি আসনই বিজেপির খাতায় যাচ্ছে। দিল্লির ৭টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৬টি আসন দখল করতে চলেছে, আর আম আদমি পার্টির প্রার্থী পূর্ব দিল্লিতে একটি আসন জিততে পারে।

রাজস্থানে বিজেপির পরাজয়, জরাটে ক্লিন সুইপ-
এবার রাজস্থানের ২৫টি লোকসভা আসন পেতে পারে বিজেপি। ১৯টি আসনে এগিয়ে বলে মনে হচ্ছে। কংগ্রেস পেতে পারে ২টি আসন এবং আরএলটিপি পাচ্ছে ১টি আসন। তবে গুজরাট ও মধ্য প্রদেশে বিজেপি ক্লিন সুইপ করবে। বিশেষ করে মধ্য প্রদেশের ২৯টি এবং গুজরাটের ২৬টি লোকসভা আসনের সবকটিতেই বিজেপি জিততে পারে।

জম্মু-কাশ্মীরেও জিততে পারে বিজেপি-
জম্মু ও কাশ্মীরের ৫টি আসনের মধ্যে বিজেপিকে ২টি আসনে জয়ী হতে দেখা যাচ্ছে।

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজভবন ও নবান্নর বিবাদ চলছে। আচার্য সি ভি আনন্দ বোস অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। রাজ্যের উচ্চ-শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই এই নিয়োগ হয়েছে। এমনই অভিযোগ ছিল শিক্ষা দফতরের।

সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে কাটল জট, ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে উপাচার্য
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য বোসকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের


কলকাতা: বিতর্কের মধ্যেই রাজ্যের ৬ টি বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে উপাচার্য। রাজ্য সরকারের পাঠানো তালিকা থেকে ৬ জন উপাচার্য নিয়োগ করবেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। ইতিমধ্যেই ৬ জনের নাম বাছাইয়ের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলা হয়েছে। রাজভবন সূত্রে তেমনটাই খবর। দ্রুত ৬ জনকে নিয়োগ করতে হবে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চের। এক সপ্তাহের মধ্যে ছ’জন উপাচার্যকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।


অপরদিকে, সুপ্রিম এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন আচার্য সি ভি আনন্দ বোসও। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আচার্য বলেছেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। এই নির্দেশ কার্যকর করব।” আর আদালতের এই নির্দেশের পরই রাজভবনকে খোঁচা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ব্রাত্য লিখেছেন, “ছয় দিয়ে শুরু! নিশ্চয়ই একত্রিশে শেষ হবে! আশা করি সুপ্রিম কোর্ট রাজভবনের কিছুটা শুভ বুদ্ধি বিকাশ ঘটাবে।”



স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজভবন ও নবান্নর বিবাদ চলছে। আচার্য সি ভি আনন্দ বোস অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। রাজ্যের উচ্চ-শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই এই নিয়োগ হয়েছে। এমনই অভিযোগ ছিল শিক্ষা দফতরের। সেই জল গড়ায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত। এমনকী, জটিলতা কাটালে মধ্যস্থতায় নামতে হয় দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানিকেও। অবশেষে উপাচার্য নিয়োগের এই জট কাটতে চলেছে বলেই মত শিক্ষামহলের।

বেআইনি চলাই মদ বিক্রির অভিযোগে সাগরের মন্দিরতলা এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার সাগর থেকে কাকদ্বীপ মহাকুমা আদালতে নিয়ে গেল সাগরের আবগারি দপ্তরের পুলিশ

 আবগারি পুলিশ সূত্রে জানা যায় ১৫ই এপ্রিল সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সাগরের আবগারি দপ্তরের পুলিশ সাগরের মন্দিরতলা এলাকা থেকে বেআইনি চলাই মদ বিক্রি করার অভিযোগ বেশ কয়েক লিটার চলাই মদ সহ গৌতম মান্না নামে এক ব্যক্তিকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে
এরপর ১৬ ই এপ্রিল মঙ্গলবার অভিযুক্ত গৌতম মান্না নামে ওই ব্যক্তিকে সাগরের কচুবেড়িয়ার LCT-ঘাট থেকে লঞ্চে করে কাকদ্বীপ মহকুমার আদালতে নিয়ে গেল সাগরের আবগারি দপ্তরের পুলিশ,

এই ছবি আপনারা সরাসরি দেখতে পাচ্ছেন কাকদ্বীপ ডট কমের ক্যামেরার মাধ্যমে 

সৌরভ মন্ডল


বারবারই বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে পাচারকারীদের দাপটের অভিযোগ ওঠে। তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীও অতন্দ্র প্রহরায় সর্বক্ষণ। ফলে শেষ অবধি আর পাচারকারীরা সফল হতে পারে না। কিছুদিন আগেই নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে সোনা পাচারের পরিকল্পনা নিয়ে জমায়েত করেছিলেন কয়েকজন।


কাঁটাতারের ওপার থেকে ছুড়ছে, পড়ছে ভারতে এসে... বিএসএফ ধরল হাতেনাতে
প্রতীকী চিত্র।


নদিয়া: কাঁটাতারের ওপার থেকে উড়ে আসছে সোনার বিস্কুট? শুনে মনে হবে কোনও গল্পের দৃশ্য। কিন্তু মোটেই তা নয়। একেবারেই বাস্তব। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী টুঙ্গি বিওপি ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ান ১ কেজি ৯৩৪ গ্রামের দু’টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, এই সোনার বিস্কুটের বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা।

বিএসএফ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের দিক থেকে এই সোনার বিস্কুট ছোড়া হয় ভারতের সীমান্তের দিকে। বিএসএফের কাছে আগাম খবর ছিল, টুঙ্গি সীমান্তে দিয়ে সোনার বিস্কুট পার হতে পারে। তৈরি ছিলেন বিএসএফের জওয়ান ও আধিকারিকরা।

এরপরই দেখা যায়, ওপার থেকে দু’জন সোনার বিস্কুট ভারতের দিকে ছুড়ে দেন। এদিকে ভারত সীমান্তে এক ব্যক্তি সেগুলি কুড়োতে থাকেন। কর্তব্যরত বিএসএফ কর্মীরা তাঁদের তাড়া করলে পালিয়ে যান তিনি। তবে বিস্কুট দু’টি বিএসএফ জওয়ানরা উদ্ধার করেন।

বারবারই বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে পাচারকারীদের দাপটের অভিযোগ ওঠে। তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীও অতন্দ্র প্রহরায় সর্বক্ষণ। ফলে শেষ অবধি আর পাচারকারীরা সফল হতে পারে না। কিছুদিন আগেই নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে সোনা পাচারের পরিকল্পনা নিয়ে জমায়েত করেছিলেন কয়েকজন। তবে বিএসএফের তাড়া খেয়ে পালান পাচারকারীরা। প্রায় ৮২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকারও বেশি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। আবারও সেই এক ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল টুঙ্গি।

লোকসভা ভোটের আগে আবারও বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। উত্তরবঙ্গে প্রথম দফার প্রচার পর্বের লাস্ট ল্যাপে ঝড় তুলেছেন তিনি। ডাক দিয়েছেন 'সোনার বাংলা' গড়ার। নতুন ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টায় নেমে পড়েছেন মিঠুন।

 জলঢোঁড়া, বেলেবোরা, জাত গোখরো কোনওটিই নয়, মিঠুনের সঙ্গে অন্য সাপের তুলনা কুণালের
কুণাল ঘোষ ও মিঠুন চক্রবর্তী


জলপাইগুড়ি: বিজেপির তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তীকে এবার লোকসভা ভোটের মুখে একহাত নিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারসভায় নিজের অভিনীত সিনেমার জনপ্রিয় ডায়লগ শোনাতে দেখা গিয়েছে মিঠুনকে। তাঁর মধ্যে একটি বহুল ব্যবহৃত ডায়লগ, যা মিঠুন একুশের বিধানসভা ভোটে একাধিকবার ব্যবহার করেছেন… ‘ আমি জলঢোঁরাও নই, বেলেবোড়াও নই, আমি জাত গোখরো।’ এবার সেই মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘লাউডগা সাপ’ বলে খোঁচা দিলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ।


এবারের লোকসভা ভোটের আগে আবারও বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। উত্তরবঙ্গে প্রথম দফার প্রচার পর্বের লাস্ট ল্যাপে ঝড় তুলেছেন তিনি। ডাক দিয়েছেন ‘সোনার বাংলা’ গড়ার। নতুন ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টায় নেমে পড়েছেন মিঠুন। তবে এবার বিজেপির তারকা প্রচারককে খোঁচা দিয়ে কুণাল বলে দিলেন, ‘তিনি আসলে একজন লাউডগা সাপের মতো। তাঁর পর্দার অভিনয়ের থেকে রাজনৈতিক অভিনয় বেশি হয়ে যাচ্ছে।’ বিজেপির তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তীকে যে এককালে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ই রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন কুণাল। তবে একইসঙ্গে তিনি এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁর নিশানায় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী নয়, রাজনীতিক মিঠুন চক্রবর্তী।


উল্লেখ্য, এর আগেও তৃণমূলের দেব ও বিজেপির মিঠুন অভিনীত একটি বাংলা সিনেমা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই সময়েও কুণাল ঘোষ একহাত নিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তীকে। ওই সিনেমাটিতে মিঠুন চক্রবর্তীর অভিনয় ‘ফ্লপ’ বলেও খোঁচা দিয়েছিলেন কুণাল। আর এবার লোকসভা ভোটের মুখে ফের একবার বিজেপির তারকা প্রচারককে বিঁধে ‘লাউডগা সাপের’ সঙ্গে তুলনা কুণালের।