WEATHER

Top News


ডনের অঙ্গুলিহেলনেই নাকি একবার একটি অনুষ্ঠানে নেচেছিলেন রাজেশ খান্না, ডিম্পল কাপাডিয়ার কন্যা টুইঙ্কল খান্না। সব্বাই জানেন, বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের স্ত্রীও তিনি। দাউদের ইশারায় কোনও অনুষ্ঠানে কি সত্যি নেচেছিলেন টুইঙ্কল? এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী...

দাউদের অঙ্গুলিহেলনে টুইঙ্কলের নাচ, অবশেষে মুখ খুললেন অক্ষয়-পত্নী?
দাউদ-টুইঙ্কল।


মুম্বইয়ের আলো-আঁধারি জগতের ‘বেতাজ বাদশাহ’ দাউদ ইব্রাহিম। এই প্রখ্যাত ডন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার খাতায়। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণের মূল ষড়যন্ত্রকারীর তালিকায় নাকি ছিলেন এই ডনই। তাঁকে নিয়ে সিনেমা হয়েছে প্রচুর। বলিউডের সুন্দরী নায়িকাদের উপর নজরও রয়েছে এই ডনের। এই ডনের অঙ্গুলিহেলনেই নাকি একবার একটি অনুষ্ঠানে নেচেছিলেন রাজেশ খান্না, ডিম্পল কাপাডিয়ার কন্যা টুইঙ্কল খান্না। সব্বাই জানেন, বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের স্ত্রীও তিনি। দাউদের ইশারায় কোনও অনুষ্ঠানে কি সত্যি নেচেছিলেন টুইঙ্কল? এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী…


মস্করা করার খুবই স্বভাব আছে টুইঙ্কলের। এ প্রশ্ন আসতেই হাসতে-হাসতে তাঁর জবাব, “সবাই বলছে, আমি নাকি দাউদের কোনও এক অনুষ্ঠানে নেচেছি। হাসি পাচ্ছে। রাগও হচ্ছে। এমনটা রটেছে দেখে। আমি তো নাচতেই পারি না। আমার কাছে নাচতে গেলেই উঠোন বাঁকা। আমার ছেলেমেয়েরা বলে, ‘মা, তোমার নাচ দেখলে মনে হয় কুস্তি করছ’। আর আমাকে দাউদ ডাকবেন। কখনওই না। আরও অনেক ভাল নৃত্যশিল্পী আছেন। তাঁদের ডাকবেন। আমাকে ডাকবেনই না। সব মিথ্যে কথা।”

আগামী ৯ মে বিয়ে করছেন কৌশাম্বী ও আদৃত। সেই উপলক্ষেই গোটা মিঠাই পরিবারের তরফে আয়োজিত হয়েছিল এক গেট টুগেদারের। সেই গেট টুগেদারে হাজির ছিলেন ছোট থেকে বড় সকলেই। বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, স্বাগতা বসু, লোপামুদ্রা সিনহা থেকে শুরু করে ফাহিম মির্জা, বিশ্বাবসু বিশ্বাস-- বাদ ছিলেন না কেউই।

তলানিতে আদৃত-সৌমিতৃষার সম্পর্ক? এক ছবিই উস্কে দিল রটনা
এক ছবিই উস্কে দিল রটনা


‘মিঠাই’ ধারাবাহিক চলাকালীনই ইন্ডাস্ট্রিতে রটনা ছিল সম্পর্ক নাকি মোটেও ভাল নেই, ছবির দুই প্রধান আদৃত রায় ও সৌমিতৃষা কুন্ডুর। এক সময় তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেলেও রটেছিল কৌশাম্বী চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকেই নাকি ক্রমশ সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে তাঁদের। সেই রটনা এবার আরও উস্কে দিলেন খোদ আদৃতই। নেপথ্যে এক ছবি।


আগামী ৯ মে বিয়ে করছেন কৌশাম্বী ও আদৃত। সেই উপলক্ষেই গোটা মিঠাই পরিবারের তরফে আয়োজিত হয়েছিল এক গেট টুগেদারের। সেই গেট টুগেদারে হাজির ছিলেন ছোট থেকে বড় সকলেই। বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, স্বাগতা বসু, লোপামুদ্রা সিনহা থেকে শুরু করে ফাহিম মির্জা, বিশ্বাবসু বিশ্বাস– বাদ ছিলেন না কেউই। এমনকি দেখা গিয়েছিল তন্বী লাহা রায়কেও। তবে ফ্রেমে দেখা যায়নি সৌমিতৃষাকে। মিঠাইয়ের এই অনুপস্থিতিই বাড়িয়ে দিয়েছে নানা জল্পনা। আদৃতের ‘আইবুড়োভাত’-এ তন্বীর উপস্থিতি মোটেও ভাল ভাবে নেননি মিঠাইয়ের ভক্তরাও। তাঁদের পুরনো ‘ঝামেলা’র প্রসঙ্গ টেনে এনে একজন লেখেন, “শুধু বাদ সৌমিতৃষা? এটা কিন্তু ঠিক নয়।”




ইন্ডাস্ট্রির সূত্র বলে, ধারাবাহিক চলাকালীনই আদৃত ও সৌমিতৃষার সখ্য গড়ে উঠেছিল। সখ্য হয়তো নিতেও পারত অন্য কোনও সম্পর্কের নাম। তবে তা হয়নি। কারণ, অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আদৃত। আপাতত সেই সম্পর্কই আরও একধাপ এগচ্ছে। আগামী ৯ মে বিয়ে করছেন তিনি ও তাঁর সহকর্মী তথা প্রেমিকা কৌশাম্বী। মিঠাই সেই বিয়েতে যান কিনা এখন সেটাই দেখার।


গত বছরের শেষ মাসে শহরের এক ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উচ্চপদস্থ কর্মচারী সৌম্য মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন সন্দীপ্তা। তবে সে বিয়েতে আসেননি রাহুল। তাঁর দাবি, "ওর বিয়ের সময় আমি ছিলাম না"। রাহুল অকপটেই জানিয়েছেন আর সন্দীপ্তার সঙ্গে কথা হয় না তাঁর।

'ওর বিয়ের সময় আমি...', সন্দীপ্তার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অকপট রাহুল
সন্দীপ্তার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অকপট রাহুল


বছর তিনেক আগেও ‘ট্র্যাভেল পার্টনার’ সন্দীপ্তা সেনের সঙ্গে ছবি দিয়ে রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘আমার সব মন কেমনের ঠিকানা তুই’। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঠিকানা বদলেছে। হৃদয়ের দফতরে এখন অন্য কারও আনাগোনা। একদা যে ছিলেন কাছের মানুষ আজ তাঁর সঙ্গেই যোগাযোগ নেই– এমনটাই দাবি করেছে হৃদয়ের মালিক তথা রাহুল। আর তেমন যোগাযোগ নেই সন্দীপ্তার সঙ্গে– অকপটেই স্বীকার করেছেন সম্প্রতি ‘নিবেদিতা অনলাইন’ নামক এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।


সন্দীপ্তা কী ছিলেন তাঁর? প্রেমিকা, বন্ধু নাকি অন্য কোনও সম্পর্ক? প্রশ্ন আসতেই রাহুলের উত্তর, “আমাদের নিয়ে যখন এত আলোচনা হয়েছে আমি বা সন্দীপ্তা আমরা কেউই কিন্তু স্বীকার করিনি আমরা সম্পর্কে আছি। আজ যখন সন্দীপ্তা অন্য কারও সঙ্গে ভাল আছে, তখন নতুন করে স্বীকার করার কিছু নেই যে আমি ওর প্রেমিক ছিলাম। আমরা বন্ধু ছিলাম। বা বন্ধুর চেয়ে বেশি ছিলাম। আর সম্পর্ক তো এলআইসি বন্ড নয় যে গ্যারান্টির সঙ্গে আসবে।” গত বছরের শেষ মাসে শহরের এক ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উচ্চপদস্থ কর্মচারী সৌম্য মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন সন্দীপ্তা। তবে সে বিয়েতে আসেননি রাহুল। তাঁর দাবি, “ওর বিয়ের সময় আমি ছিলাম না”। রাহুল অকপটেই জানিয়েছেন আর সন্দীপ্তার সঙ্গে কথা হয় না তাঁর। তবে রুকমা রায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ খানিক আলাদা, তা স্বীকার করতেও ভোলেননি রাহুল। তাঁর কথায়, “রুকমা আমাকে মজার মজার ভিডিয়ো পাঠায়। একটা ভীষণ গভীর বন্ধন আছে আমাদের।”


এর আগে সন্দীপ্তার বিয়ের খবর শুনে টিভিনাইন বাংলায় মুখ খুলেছিলেন রাহুল। বলেছিলেন, “খুব ভাল হোক, বন্ধুর ভাল হবে সেটাই চাইব। আমরা তো কোনওদিন কোনও সম্পর্কে ছিলাম না। বন্ধু ছিলাম। ওর জীবনে সম্পর্ক আসার দরকার ছিল এবং সেটা এসেছে, সে জন্য আমি ভীষণই খুশি।” এই মুহূর্তে স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকারের সঙ্গে বৈবাহিক অশান্তি মিটিয়ে আবারও এক হয়েছেন রাহুল। তবু অতীত ফিরে আসে মাঝেমধ্যেই, প্রশ্ন এড়ানো যায় কি?

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর জয়পুরের সওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচ। এক বার ভাবুন তো তার আগে যদি রোহিত-হার্দিকরা স্টেডিয়ামে না পৌঁছতে পারেন, তা হলে কী হবে? সঠিক সময়ে ম্যাচ শুরু হবে তো? এই পরিস্থিতিতে রোহিতদের উদ্ধারকর্তা হলেন সানি।

ট্রাফিক জ্যামে আটকে MI টিম, পথ দেখানো সানির জন্য হাততালি রোহিতদের
ট্রাফিক জ্যামে আটকে MI টিম, পথ দেখানো সানির জন্য হাততালি রোহিতদের


 পৌঁছতে কে না চায়! সকলেই এমনটা চান। কিন্তু ট্রাফিক জ্যাম অনেককে সঠিক সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে দেয় না। আর এই ট্রাফিক জ্যাম তো কারও হাতে থাকে না। এ বার জয়পুরের রাস্তায় যানজটে আটকে পড়ল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) টিম বাস। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর জয়পুরের সওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচ। এক বার ভাবুন তো তার আগে যদি রোহিত-হার্দিকরা স্টেডিয়ামে না পৌঁছতে পারেন, তা হলে কী হবে? সঠিক সময়ে ম্যাচ শুরু হবে তো? এই পরিস্থিতিতে রোহিতদের উদ্ধারকর্তা হলেন সানি।

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট X এ একটি ১৮ সেকেন্ডের ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, জয়পুরে ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের টিম বাস। সেই সময় সানি নাম ও ৭ নম্বর লেখা জার্সি পরা এক ব্যক্তি সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দেন রোহিত-সূর্যদের দিকে। রাস্তার মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের টিম বাসের সামনে থেকে সরে যেতে সাহায্য করেন তিনি। সেই সময় গাড়িতে থাকা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্রিকেটাররা সানির জন্য হাততালি দেন। ভেতর থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এক ক্রিকেটার আবার বলেন, ‘ভালো ভালো সানি, খুব ভালো।’ এরপর মুম্বইয়ের টিম বাস সামনে এগিয়ে যায়। ভিডিয়োটির ক্যাপশনে MI টিমের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, ‘দিল জিত লিয়া সানি ভাই।’

এক ঝলকে দেখে নিন ট্রাফিক জ্যামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের টিম বাস আটকে যাওয়ার সেই ভিডিয়োটি 

 হর্ষিত রানার ফুলটস বলে আউট হয়েছেন বিরাট। কিন্তু তাঁর আউট ঘিরে রয়েছে বিতর্ক। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথা বলছেন অনেকে। আবার অনেকেই বলছেন, আম্পায়ার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আম্পায়ারের পক্ষে দাঁড়ানো লোকের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। অধিকাংশ প্রাক্তন, বিশেষ করে যাঁরা ধারাভাষ্য দেন, তাঁরা কিন্তু সোজাসুজি বলে দিচ্ছেন, নিয়ম অনুযায়ী আম্পায়ার ঠিক আউটই দিয়েছেন।

শেখাবে নাকি ঝগড়া করবে... বিরাটকে লক্ষ্য করে বিষাক্ত তির প্রাক্তনের?


কলকাতা: টুইটারে একটা ভিডিয়ো নিয়ে খুব চলছে। ছোট্ট ভিডিয়ো কিন্তু ভীষণ শিক্ষনীয়। কেরিয়ারে অনেক ম্যাচ খেলেছেন সচিন তেন্ডুলকর। বিতর্কিত আউটও হয়েছেন বহুবার। তখন ডিআরএস ছিল না। বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তিও আসেনি। যতবার বিতর্কিত আউট হয়েছেন, কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ক্রিকেট ঈশ্বর। তাঁর সেই বিখ্যাত মনভোলানো হাসি। যেন বলতে চেয়েছেন, ‘ওরা জানে না, কী ভুল করছে! ওদের ক্ষমা করো।’ সচিন কেরিয়ার জুড়ে শিখিয়ে গিয়েছেন, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই সব। তিনি আউট দিলে মানতে হয়। মাঠ ছেড়ে যেতে হয়। যতই সচিনের উত্তরসূরী ধরা হোক, ক্রিকেট দুনিয়ার নতুন কিং বলা হোক, বিরাট কোহলিকে কি তাঁর আসনে বসানো যাবে? এক প্রাক্তন কিন্তু বিষমাখানো তির ছুড়লেন বিরাটের দিকে।


কেকেআরের বিরুদ্ধে রবিবার দুপুরের ম্যাচে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হর্ষিত রানার ফুলটস বলে আউট হয়েছেন বিরাট। কিন্তু তাঁর আউট ঘিরে রয়েছে বিতর্ক। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথা বলছেন অনেকে। আবার অনেকেই বলছেন, আম্পায়ার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আম্পায়ারের পক্ষে দাঁড়ানো লোকের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। অধিকাংশ প্রাক্তন, বিশেষ করে যাঁরা ধারাভাষ্য দেন, তাঁরা কিন্তু সোজাসুজি বলে দিচ্ছেন, নিয়ম অনুযায়ী আম্পায়ার ঠিক আউটই দিয়েছেন। তাতেও যে বিতর্ক থেমেছে, তা নয়। কিন্তু মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে ঝামেলা করার অভিযোগে বড়সড় জরিমানা হয়েছে বিরাটের। ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা গিয়েছে তাঁর। পরিস্থিতি যখন জটিল, তখন এক প্রাক্তন কিন্তু বিরাটকে নাম না করে সমালোচনা করলেন। কে তিনি?





তিনি আকাশ চোপড়া। বিরাটের বিতর্কিত আউটে যিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন আম্পায়ার। সেই তিনি একটি টুইট করে লিখেছেন, ‘যে তারকা, সে তার প্রভাব কাজে লাগিয়ে শিক্ষিত করার চেষ্টা করবে অথবা ঝামেলা করবে। ভেবেচিন্তে ঠিক করুক।’ আকাশ যে বিরাটকে ঘুরিয়ে বলেছেন, টুইট পড়লেই বোঝা যাবে। আর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। অনেকেই সরাসরি আক্রমণ করেছেন আকাশকে। কেউ কেউ আবার আকাশের প্রশংসাও করেছেন। সব মিলিয়ে কিন্তু কেকেআর ম্যাচে বিরাট কোহলির আউট ঘিরে বিতর্কের জল মাঠের বাইরেও গড়াতে শুরু করেছে।

বস্তুত, দীর্ঘদিন লড়াই-আন্দোলনের পরই চাকরি পেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা সাউ ও অনামিকা রায়। এদিন টিভি ৯ বাংলায় প্রিয়াঙ্কা জানান, "আমাদের ভোট দান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি অযোগ্যদের মানুষদের সেই ক্ষমতা দিই তাহলে আমাদের ভুক্তভোগী হতেই হবে।"

 'অযোগ্যদের ক্ষমতা দিলে ভুক্তভোগী হতেই হবে', চাকরি হারিয়ে বললেন প্রিয়াঙ্কা
প্রিয়াঙ্কা সাউ


কলকাতা: ভোটের আবহেই আজ বড় দিন বাংলায়। SSC মামলার রায় ঘোষণা করলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়ে দিল, বেআইনি ভাবে সমস্ত চাকরি বাতিল। বাতিল হল ২৩ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি। যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে সেই তালিকায় রয়েছে প্রিয়াঙ্কা সাউ ও অনামিকা রায়ের চাকরি। তবে তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে না।


বস্তুত, দীর্ঘদিন লড়াই-আন্দোলনের পরই চাকরি পেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা সাউ ও অনামিকা রায়। এদিন টিভি ৯ বাংলায় প্রিয়াঙ্কা জানান, “আমাদের ভোট দান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি অযোগ্যদের মানুষদের সেই ক্ষমতা দিই তাহলে আমাদের ভুক্তভোগী হতেই হবে। তার দৃষ্টান্ত আমাদের চোখের সামনে। যারা দুর্নীতি করল তাদের জন্য আমরা যারা যোগ্য আন্দোলন করলাম, রাস্তায় বসে রইলাম, তারপর কোর্টে অর্ডারে চাকরি পেলাম, আজকে একইভাবে সেই লিস্টে এসে গেলাম যে আমাদের চাকরি বহাল থাকল না।” এখানেই শেষ নয়, প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন,” একটাই কথা বলব কোর্টের অর্ডারে চাকরি পেয়েছি। কোর্টের অর্ডারেই চাকরি নেই। আমরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইনি। উচ্চ আদালতে যাব।”

তিনি জানান, “মাথা ঠিক না হলে অঙ্গ প্রত্যঙ্গে পচন ধরবে। আর সেই কারণে শিক্ষামন্ত্রী জেলে। এত আমলারা জেলে। যারা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন তারা জলে আর দুধে মিশে রয়েছে। আর তাদের আলাদা করা যাচ্ছে না বলে আমাদের মতো যোগ্য প্রার্থীরা ভুক্তভোগী। সীতাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছিল। আমাদেরও প্রমাণ করতে হবে আমরা ভুয়োদের দলে পরি না।”


আদালতের রায়ে মানসিকভাবে কার্যত ভেঙে পড়েছেন অনামিকা রায়ও। তিনি বলেন, “অযোগ্যদের জন্য এত বারবার পরীক্ষা দিতে হবে। আমি হতাস। এই রায় মানতে পারছি না। আমি ভেঙে পড়েছি। শুধু অযোগ্যদের বের করতে পারত। আমরা অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে চাকরি পেয়েছি। কিন্তু এটা আশা করিনি। অযোগ্যদের জন্য মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছি। দুর্নীতির জন্যই এটা হল।”

কেকেআরের বিরুদ্ধে শুরুতেই ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন বিরাট। কিন্তু বেশিক্ষণ সেই ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল না। হর্ষিত রানার বলে ফিরে যান ৮ বলে ১৮ করে। এই আউট নিয়েই তীব্র বিতর্ক দেখা গিয়েছে আইপিএলে। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই নাকি আউট হয়েছেন বিরাট, এমন বলা শুরু করেছেন অনেকেই। 

কিন্তু ধারাভাষ্যকাররা অনেকেই যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিরাটের আউট যথাযথ নিয়ম মেনেই দেওয়া হয়েছে। আম্পায়ার কোনও ভুলই করেননি।

আউট হয়ে ঝামেলা আম্পায়ারের সঙ্গে, বিরাট জরিমানা কোহলির!


কলকাতা: কোমরের উপরের বলে আউট হয়েছেন। এমনই দাবি ছিল তাঁর। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা কাজে লাগেনি। তৃতীয় আম্পায়ার বল ট্র্যাকিং দেখে আউটের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। তার পরও ক্ষোভ গোপন করেননি তিনি। আম্পায়ারকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। এতেই শেষ নয়, ম্যাচের পরও আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি যে অখুশি, তাও শরীরীভাষায় ফুটে উঠছিল। এর ফল হাতেনাতে পেলেন বিরাট কোহলি। কেকেআর ম্যাচে বিধিভঙ্গের অপরাধে আরসিবি তারকার বিরাট জরিমানা করল বিসিসিআই।


কেকেআরের বিরুদ্ধে শুরুতেই ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন বিরাট। কিন্তু বেশিক্ষণ সেই ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল না। হর্ষিত রানার বলে ফিরে যান ৮ বলে ১৮ করে। এই আউট নিয়েই তীব্র বিতর্ক দেখা গিয়েছে আইপিএলে। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই নাকি আউট হয়েছেন বিরাট, এমন বলা শুরু করেছেন অনেকেই। কিন্তু ধারাভাষ্যকাররা অনেকেই যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিরাটের আউট যথাযথ নিয়ম মেনেই দেওয়া হয়েছে। আম্পায়ার কোনও ভুলই করেননি।

বিরাট স্টেপ আউট করেছিলেন হর্ষিতের বল খেলার জন্য। ক্রিজ ছেড়ে বেরনোর কারণেই হর্ষিতের বল কোমরের উপর ছিল। যদি ক্রিজে দাঁড়িয়ে খেলতেন, তা হলে ওই বল কোমরের নিচে থাকত। স্টেপ আউট করা ব্যাটারের পজিশন ট্র্যাক করার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি তাঁর স্টান্স পজিশনই ধরবে। এগিয়ে গিয়ে খেলছে কিনা, তা ধরা হবে না। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের এই যুক্তি কিন্তু অনেকেই উড়িয়ে দিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার এও বলছেন, ভুলের শিকার হয়েছেন বিরাট। ফুটবলের অফসাইডের ক্ষেত্রে যেমন একটা লাইন আঁকা হয়, এ ক্ষেত্রেও তাই করা উচিত।


পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, বিরাট কিন্তু বিতর্কের কেন্দ্রে। আউট হয়ে তিনি যে ঝামেলা করেছেন, তার খেসারত দিতে হল। ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা গেল তাঁর। স্লো ওভার রেটের কারণে ক্যাপ্টেন ফাফ দু’প্লেসির ১২ লক্ষ টাকা জরিমান হয়েছে। একে টিম টানা ছ’ম্যাচ হেরে বসেছে। তার উপর টিমের দুই তারকার বড় জরিমানা আরও চেপে ফেলে দিল আরসিবিকে। টিমের এ বারও যা হাল, তাতে এ বারও টিম প্লে-অফে যেতে পারবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। বিরাট অঘটন না ঘটলে লিগেই শেষ হয়ে যাবে আরসিবির খেলা।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি জঙ্গিদের টার্গেটে? কারণ, অভিষেকের বাড়ি রেইকি করে মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারী। এমনই বড় তথ্য সামনে আনল কলকাতা পুলিশ। তাঁর বাড়ি রেইকি করে মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারী।

জঙ্গি টার্গেটে অভিষেক! রেইকি করা হয়েছিল বাড়ি, গ্রেফতার মুম্বই হামলার 'ষড়যন্ত্রকারী'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী


কলকাতা: তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি জঙ্গিদের টার্গেটে? তাঁর বাড়ি রেইকি করে মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারী। এমনই বড় তথ্য সামনে আনল কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় উঠে আসছে রাজারাম রেগের নাম। জানা যাচ্ছে, এই রাজারাম কলকাতায় আসে। শেক্সপিয়ার সরণি এলাকার একটি হোটেলে উঠেছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পিএ-র মোবাইল নম্বরও জোগাড় করেছিলেন বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর।

জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স রাজারাম নামে এই ব্যক্তিকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছে। এই ব্যক্তির অপর বড় পরিচয় হল তিনি একসময় শিবসেনা নেতা ছিলেন। ২৬/১১ মুম্বই হামলার তদন্তে রেগের নাম উঠে এসেছিল। হামলার অন্যতম চক্রী ডেভিড হেডলির শিকাগোতে যখন বিচার প্রক্রিয়া চলছিল, সেই সময় তিনি বয়ান দিয়েছিলেন যে রাজারাম রেগে নামক এই শিবসেনা নেতার সঙ্গে শিবসেনা ভবনের বাইরে তিনি দেখা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি চেয়েছিলেন লস্কর-ই-তৈবার মুম্বই হামলায় এই রাজারাম রেগেকে ব্যবহার করতে। এরপর থেকেই রাজারামের নাম মুম্বই হামলার ঘটনায় উঠে আসে।

কলকাতা পুলিশের অভিযোগ, রাজারাম দক্ষিণ কলকাতার একটি হোটেলে ছিলেন। সেখান থেকে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর আপ্ত-সাহায়কের ফোন নম্বরও জোগাড়ে করেছিলেন। একই সঙ্গে রেইকি করা হয় তৃণমূল নেতার বাড়িও। তবে ঠিক কী কারণে এই রেইকি করেছিলেন রাজারাম তা জানতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা বলেন, “তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি মুম্বই থেকে একজন লোক এখানে এসে থেকেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি ওই ব্যক্তি রাজারাম রেগে।”

 এ দিন, ভরা সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা লড়ে যাব। লড়াই করব। যাঁদের কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ চাকরি বাতিল করা হল তাঁরা হতাশ হবেন না। চিন্তা করবেন না। কেউ জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। যতদূর লড়াই করার লড়াই করব।"

 'এই অর্ডার বেআইনি, দেড় লক্ষ পরিবারের ক্ষতি, আমার ১০ লক্ষ চাকরি রেডি'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী

ভোটের প্রচারে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন সভার শুরুতেই কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিয়ে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। চাকরি হারাদের পাশে থাকার বার্তাও দেন তিনি।


এ দিন, ভরা সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা লড়ে যাব। লড়াই করব। যাঁদের কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ চাকরি বাতিল করা হল তাঁরা হতাশ হবেন না। চিন্তা করবেন না। কেউ জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। যতদূর লড়াই করার লড়াই করব।”

নাম না করে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায়ে আক্রমণ করেন মুখ্য়মন্ত্রী। বলেন, “একজনকে দেখলেন না বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে গেল। তাঁর অর্ডার ছিল এটা। সুপ্রিম কোর্ট এটাকে সরিয়ে দিয়েছিল। বলেছিল নতুন ডিভিশন বেঞ্চ করে আলোচনা হোক।” মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “আরে কাকে নিয়ে করবেন নতুন ডিভিশন বেঞ্চ? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। আমি বিচারপতিদের নিয়ে বলছি না।”


এরপরই আদালতের রায় নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ ছোড়েন। বলেন, ” রায় নিয়ে বলার অধিকার আমার রয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। কারণ ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি বাতিল মানে প্রায় দেড় লক্ষ পরিবার। বলছে কি না আট বছর তাঁরা চাকরি করেছে, চার সপ্তাহের মধ্যে সব টাকা ফেরত দিতে হবে। এটা সম্ভব?” মুখ্য়মন্ত্রীর প্রশ্ন, “আপনারা যাঁরা এই রায়টা দিচ্ছেন, সারা জীবন আপনারা যাঁরা চাকরি করলেন, তাঁদের যদি টাকা ফেরত দিতে বলা হয় পারবেন দিতে? সব তো সরকারি টাকায় চলেন, সরকারের গাড়িতে চড়েন, সরকারি নিরাপত্তা পান। আমরা আপনাদের সম্মান করি। এই অর্ডার বেআইনি। সেই জন্যই চ্যালেঞ্জ করছি।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর হুংকার, “আমি এই অর্ডারকে বেআইনি বলছি। বিচারপতিকে নয়। আমরা এটা নিয়ে উচ্চ-আদালতে যাচ্ছি।” মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ুয়ারা চিন্তা করবেন না। যখন বিপদে পড়বেন আর কেউ না থাকলেও আমি আছি। আরও একটা কথা বলি। আরও দশ লক্ষ সরকারি চাকরি রেডি।“

 "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, ন্য়াচারাল জাস্টিসের জন্য সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে, সেটা ফিজিক্যালি হতে পারে, হলফনামার মাধ্যমে হতে পারে। এক্ষেত্রে সেই হলফনামা নিশ্চই পড়া হয়েছে, সেটা আমি জানি না। এই বিষয়গুলো আমাদের আইনি বিভাগ দেখবে।"

হাজার হাজার চাকরি বাতিল, স্কুলের পঠন পাঠন নিয়ে উদ্বেগে পর্ষদ
প্রতীকী ছবি



কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ মামলায় বড় রায় কলকাতা হাইকোর্টের। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক, বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বললেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের নির্দেশে, ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। তাহলে এত চাকরি বাতিলের পর রাজ্যের স্কুলগুলো চলবে কীভাবে? উদ্বেগে পর্ষদ।


রামানুজ বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, ন্য়াচারাল জাস্টিসের জন্য সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে, সেটা ফিজিক্যালি হতে পারে, হলফনামার মাধ্যমে হতে পারে। এক্ষেত্রে সেই হলফনামা নিশ্চই পড়া হয়েছে, সেটা আমি জানি না। এই বিষয়গুলো আমাদের আইনি বিভাগ দেখবে। প্রাথমিকভাবে যতটুকু বুঝতে পেরেছি, তার ভিত্তিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করবে। আমরা চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলা ফাইল করতে পারি।”

তিনি বলেন, “এত মানুষের কালকে থেকে স্কুলে যাওয়া বা না যাওয়া, স্কুল পরিচালনা করা, পঠন পাঠন ব্যবস্থা, সবটাই দেখা-বোঝা বোর্ডের দায়িত্ব। স্কুলগুলো কীভাবে চলবে, সেটা আমাদের নজর রাখতে হবে। যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন রাখব।”


তিনি আরও বলেন, “একজনও নির্দোষ প্রার্থী বঞ্চিত না হন, তার চেষ্টা করব। আমরা চেষ্টা করব, ন্যায়ের পথে আজকের রায় গ্রহণ করতে না পারার কারণ শীর্ষ আদালতে পেশ করতে পারব।”



রচনা বলেন, গৃহিনী খুব আদর করে রান্না করেছেন। সব খাবারে তাই এত স্বাদ। তবে আলু পোস্ত আলাদা করে মনে ধরেছে তৃণমূলের তারকা-প্রার্থীর। যদিও রচনা বলেন, প্রথমে তাঁকে আলু পোস্ত দিতে ভুলেই গিয়েছিল। চেয়ে নিয়েছেন তিনি।

 'আমি বাঙাল, ঘটি নই, তবে...', রচনার পাতে আলু পোস্ত পড়তেই যা বললেন
পাত পেড়ে খেলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।


হুগলি: ভোটপ্রচারে বেরিয়ে কখনও টকদই, কখনও আবার ঘুগনি খেতে দেখা গিয়েছে হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । এবার পাতে পড়ল আলু পোস্ত। দই, ঘুগনির মতোই আলু পোস্তর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রচনা। বলাগড়ের একতারপুরের গাজিপাড়ার এক আদিবাসী পরিবারে শনিবার মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন রচনা। মাটির থালায় কলাপাতা দেওয়া। তার উপর সাজানো ভাত, শাকভাজা, শুক্তো, ডাল, পটল ভাজা, আলু পোস্ত, আলু পটলের তরকারি, দই। চাটাইয়ে বাবু হয়ে বসে সেই ভাত-ডাল-আলু পোস্ত খেলেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’।


রচনা বলেন, গৃহিনী খুব আদর করে রান্না করেছেন। সব খাবারে তাই এত স্বাদ। তবে আলু পোস্ত আলাদা করে মনে ধরেছে তৃণমূলের তারকা-প্রার্থীর। যদিও রচনা বলেন, প্রথমে তাঁকে আলু পোস্ত দিতে ভুলেই গিয়েছিল। চেয়ে নিয়েছেন তিনি।


হাসতে হাসতে রচনা বলেন, “আলু পোস্ত ভালবাসি খেতে। আমি সব বাঙালি খাবারই খেতে ভালবাসি। আর আজ নিরামিষ। তাই পোস্ত ছাড়া তো বাঙালির খাবার অসম্পূর্ণ। যদিও আমি বাঙাল, ঘটি নই। তাও আলু পোস্ত খেতে ভালবাসি।” কিছুদিন আগে তাঁর দই নিয়ে মন্তব্য ঘিরে জোর চর্চা হয়েছিল। এদিন বলাগড়ের দই খেয়ে কেমন লাগল? সিঙ্গুরের দই নাকি বলাগড়ের দই ভাল, তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই রচনার জবাব, “হুগলির দই।”

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেব বলেন, আবারও সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হলে তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে প্রতিবছর ১৫ শতাংশ টাকা আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য খরচ করবেন। দেব জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যেভাবে সমস্ত মানুষকে সম্মান করেন, অন্য কোনও দল তা করে না।


আদিবাসী-পোশাকে নাচ দেবের, শুনেই হিরণ বললেন, 'আমিও তো কয়েকদিন আগে...'
মঞ্চে দেব।


মেদিনীপুর: ভোটের বঙ্গে কত কিছুই না ঘটে! বছরভরের তারকারা এই ভোটের সময়গুলো নেমে আসেন মাটিতে। একেবারে মাটির মানুষ হয়ে যান তাঁরা। ঘাটাল লোকসভার অন্তর্গত ডেবরা বিধানসভার ডেবরা অডিটোরিয়ামে এসটি সেলের নির্বাচনী জনসভায় আদিবাসীদের পোশাকে হাজির হলেন দেব। মাথায় হলুদ গামছা আর হলুদ কাপড় পরে আদিবাসী সমাজের মানুষের সঙ্গে মিশে চলল প্রচার।


এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেব বলেন, আবারও সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হলে তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে প্রতিবছর ১৫ শতাংশ টাকা আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য খরচ করবেন। দেব জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যেভাবে সমস্ত মানুষকে সম্মান করেন, অন্য কোনও দল তা করে না।

ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ অবশ্য দেবের এই পোশাক পরে প্রচারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, “উনি তো অভিনেতা, অভিনয় করেন মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতির। মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন। উনি তো স্বীকারও করেছেন যে মানুষের কাছে যান না, লোকসভা এলাকায় থাকেন না।”


তবে একইসঙ্গে হিরণ মনে করিয়ে দেন, তিনিও যে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে গিয়ে নেচেছেন। তাঁর কথায়, “উনি তো একটি হলের মধ্যে কিছু মা বোনের সঙ্গে মাথায় ফেট্টি বেঁধে নাচলেন। আমি তো কয়েকদিন আগে মাঠের মধ্যে জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে ধূলোর মধ্যে নাচছিলাম। পার্থক্য ছিল, পার্থক্য আছে থাকবে।”



মইনুদ্দিনকে আইএসএফ প্রার্থী করার পর সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর বেশ সুনামই করেছিলেন। চাকরিপ্রার্থী মইনুদ্দিনকে 'ভদ্রলোক' বলে মন্তব্য করেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেছিলেন, 'একটি সাক্ষাৎকারে তিনি ভদ্রলোকের মতো কথা বলেছেন।

 'আমাদের রাস্তায় বসিয়ে এসেছেন...', অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে ভোটের প্রচারে চাকরিপ্রার্থী
অভিজিৎ গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে ভোটে লড়ছেন চাকরিপ্রার্থী মইনুদ্দিন


নন্দীগ্রাম: হাইভোল্টেজ তমলুকে এবার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিপরীতে প্রচার শুরু করে দিলেন চাকরিপ্রার্থী মইনুদ্দিন আহমেদ। এবারের ভোটে বিজেপির অভিজিৎবাবুর বিপরীতে আইএসএফ প্রার্থী করেছে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের অন্যতম প্রতিনিধি মইনুদ্দিনকে। শনিবার নন্দীগ্রাম থেকে ভোটের প্রচারে নেমে পড়লেন আইএসএফ প্রার্থী। শনিবার সন্ধেয় নন্দীগ্রামের দাউদপুর ভাটপুকুর বাজার এলাকায় ঘুরে প্রচার করলেন তিনি। দোকানে দোকানে ঢুকে আমজনতার সঙ্গে কথা বললেন।


উল্লেখ্য, মইনুদ্দিনকে আইএসএফ প্রার্থী করার পর সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর বেশ সুনামই করেছিলেন। চাকরিপ্রার্থী মইনুদ্দিনকে ‘ভদ্রলোক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেছিলেন, ‘একটি সাক্ষাৎকারে তিনি ভদ্রলোকের মতো কথা বলেছেন। যে কোনও ভদ্রলোককেই আমি সম্মান জানাই। তাঁকেও সম্মান জানাব। একটি সুষম লড়াই হবে।’

আজ নন্দীগ্রামে ভোটের প্রচারে এসে মইনুদ্দিনও প্রতি সম্মান জানালেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশে। আইএসএফ প্রার্থী বললেন, ‘যাঁরা বঞ্চিত সমাজকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁরা বঞ্চিত সমাজের যন্ত্রণাটা বোঝেন। তাই হয়ত তিনি প্রশংসা করছেন। আমিও ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে সম্মান করি। কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতাদর্শের বিস্তর ফারাক রয়েছে।’


তবে একইসঙ্গে আইএসএফ প্রার্থী মইনুদ্দিন আহমেদ এও বললেন, ‘যতদিন তিনি বিচারপতির আসনে ছিলেন, তাঁর নির্দেশনামা নিয়ে আমাদের কোনও সংশয় নেই। কিন্তু তিনি বিচারপতির আসন ছেড়ে আমাদের রাস্তায় বসিয়ে এসেছিলেন। আমি চাকরিপ্রার্থী হিসেবে তমলুকের মাটিতে বিচার চাইতে এসেছি।’

ভোটের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে, নন্দীগ্রাম তথা তমলুকের রাজনীতিও গরম হচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টায় নেমে পড়েছে। সিপিএমের থেকে এখানে প্রার্থী করা হয়েছে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। আবার শাসক শিবিরের বাজি দলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এখন দেখার ৪ জুন ভোট গণনার দিন শেষ হাসি কার মুখে ফোটে।