WEATHER

Top News


মহুয়া মৈত্র বলেন, "মানুষের মুখ বন্ধ করা যায় না। আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। আমি ওপেনলি জীবনযাপন করি। কারোর যদি তা নিয়ে সমস্যা হয়, সেটা তাদের সমস্যা। আগামিদিনে কী হয়, কেউ জানে না। কে জেলে বসে, কে সিংহাসনে বসে, তা মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে।"


বাড়িতে CBI তল্লাশি চালিয়ে কী পেয়েছে, ফাঁস করে দিলেন মহুয়া নিজেই
মহুয়া মৈত্র।


নদিয়া: ফের ইডির সমন এড়ালেন মহুয়া মৈত্র। ভোট প্রচারেই ব্যস্ত তিনি। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই আজ, বৃহস্পতিবার ইডি সমন পাঠিয়েছিল তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের প্রার্থীকে। কিন্তু সেই সমন এড়িয়ে গেলেন মহুয়া। এ দিন নদিয়ার নয়াচরে নির্বাচনী প্রচারে এসে মহুয়া মৈত্র বলেন যে সিবিআই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে লবডঙ্কা পেয়েছে।


এ দিন মহুয়া মৈত্র বলেন, “সিবিআই এল, আমার বাড়ি সার্চ করল। যাওয়ার সময় আমায় ৫টা পঞ্চনামা ধরিয়ে গেল। সেখানে লেখা, নো ইনক্রিমেন্টিং এভিডেন্স, নো ডকুমেন্ট, নো সিজার। সিবিআই যখন কিছু পায়, তখন ছাতি চিতিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে জানায়। আমার বাড়িতে কিছুই পায়নি। অভিযান চালিয়ে লবডঙ্কা পেয়েছে। জিনিসটা আমার বেশ হাস্যকর লাগছে। মানুষ সবকিছুই দেখছে।”

মহুয়া মৈত্র আরও বলেন, “মানুষের মুখ বন্ধ করা যায় না। আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। আমি ওপেনলি জীবনযাপন করি। কারোর যদি তা নিয়ে সমস্যা হয়, সেটা তাদের সমস্যা। আগামিদিনে কী হয়, কেউ জানে না। কে জেলে বসে, কে সিংহাসনে বসে, তা মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে।”


ইডির সমন পাঠানো নিয়ে বলেন, “সবে তো শুরু। ইডি আসবে, সিবিআই আসবে। প্রধানমন্ত্রী এসেছেন। আমি তো সবাইকে বলি, কৃষ্ণনগরে আসুন, সরপুরিয়া খান, আর আমার ভোটটা বাড়ুক। প্রধানমন্ত্রী বিজেপি প্রার্থীকে ফোন করবেন না তো কী আমায় ফোন করবেন!”

দিল্লিতে ইডি ডেকে পাঠানো নিয়ে মহুয়া মৈত্র বলেন, “কে ডেকে পাঠিয়েছে,আমি দিল্লি হাই কোর্টে কেস করেছিলাম ২ সপ্তাহ আগে। বলেছিলাম মিডিয়াকে তথ্য লিক করা হচ্ছে।তখন ইডি হলফনামা দিয়ে হাইকোর্টে বলেছিল যে আমরা লিক করছিনা।আমি তো আপনাদের বলিনি। ইডি হলফনামা দিয়ে বলেছে ওরা কী করছে, তা মিডিয়াকে বলা হবে না,আপনাদের কে বলেছে এইসব, বলতে পারব না।”

বর্তমানে সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার। কলকাতা হাইকোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবেও থেকেছেন তিনি। অভিযোগ, ওই ট্রাফিক কর্মী পলাশ হালদার অন্য একজনের থেকেও কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নাম করে ৫০০ টাকা নিয়েছিলেন। বিচারপতি সিনহা তাঁকে ২ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

টাকার চাওয়ার সময় বিচারপতি নাম! অভিযোগ শুনে অবাক বিচারপতি সিনহা
কলকাতা হাইকোর্ট।


কলকাতা: এমন মামলা এজলাসে এল, বিচারপতি নিজেই থ! অভিযোগ, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে টাকা চান ট্রাফিক গার্ড। আর টাকা দিতে না চাওয়ায় বলেন তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কাজ করেছেন। আইনটা তিনি জানেন। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এক মামলা ওঠে। এক আইনজীবী মামলাকারী।

মামলাকারী শুভ্রাংশু পাণ্ডা অভিযোগ, ট্রাফিক গার্ডকে টাকা দিতে অস্বীকার করায় সিমলা হাইকোর্টের বিচারপতির নাম করেন ওই ব্যক্তি। ওই ট্রাফিক গার্ড বলেছিলেন, এক সময় কলকাতা হাইকোর্টেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবে থাকা বিশ্বনাথ সমাদ্দারের কাছে কাজ করার সুবাদে আইন জেনেই টাকা নিচ্ছেন তিনি। এমন মামলা শুনে বিস্মিত বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ওই ট্রাফিক গার্ডকে আদালতে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা।

মামলাকারী অভিযোগ করেন, বিদ্যাসাগর সেতুর উপর এক ট্রাফিক গার্ড তাঁর থেকে ১ হাজার টাকা দাবি করেন। আইনজীবী তা দিতে অস্বীকার করায় ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি দেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়। অভিযোগ সেই সময় ওই, ট্রাফিক কর্মী বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের নাম করেন। অভিযোগ, ট্রাফিক গার্ড ওই আইনজীবীর কাছে দাবি করেন, তিনি বিচারপতির কাছে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তাই আইন ভালই জানেন।

বর্তমানে সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার। কলকাতা হাইকোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবেও থেকেছেন তিনি। অভিযোগ, ওই ট্রাফিক কর্মী পলাশ হালদার অন্য একজনের থেকেও কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নাম করে ৫০০ টাকা নিয়েছিলেন। বিচারপতি সিনহা তাঁকে ২ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

অতীতে 'ফাগুন বউ', 'শ্রীময়ী', 'কোড়া পাখি', 'খড়কুটো', 'গুড্ডি'র মতো ধারাবাহিকে দর্শক তাঁকে আবিষ্কার করেছেন এক মায়ের চরিত্রে। এক-এক মা এক-এক রকম। কিন্তু জানেন কি মালবিকা বাস্তব জীবনে মা হতে পারেননি? তাঁর এই মা না-হওয়াটাকে কীভাবে পূরণ করলেন অভিনেত্রী?

ঔরসজাত সন্তানের জন্ম হয়নি, কেন মা হতে পারলেন না মালবিকা সেন?


কত্থক, ভরতনাট্যম, কুচিপুডি নাচে পারদর্শী নৃত্যশিল্পী মালবিকা সেনকে দর্শক দেখেন সিরিয়ালের পর্দাতেও। তা-ও এক দশক পেরিয়ে গিয়েছে। মালবিকা এখন পুরোদস্তুর অভিনেত্রীও। বর্তমানে অভিনয় করছেন ‘জল থৈ থৈ ভালবাসা’ সিরিয়ালে। অতীতে ‘ফাগুন বউ’, ‘শ্রীময়ী’, ‘কোড়া পাখি’, ‘খড়কুটো’, ‘গুড্ডি’র মতো ধারাবাহিকে দর্শক তাঁকে আবিষ্কার করেছেন এক মায়ের চরিত্রে। এক-এক মা এক-এক রকম। কিন্তু জানেন কি মালবিকা বাস্তব জীবনে মা হতে পারেননি? তাঁর এই মা না-হওয়াটাকে কীভাবে পূরণ করলেন অভিনেত্রী?


এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মালবিকা শেয়ার করেছেন সে কথা। নিজের চেয়ে ১০ বছরের বড় পেশায় সাংবাদিক সুমিত সেন-কে বিয়ে করেছিলেন মালবিকা। সুখী সংসার ছিল তাঁদের। স্ত্রী অন্তঃপ্রাণ ছিলেন সুমিত। স্বামীর মৃত্যুর পর মালবিকা মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছিলেন (মৃত্যুর সময় সুমিত সেন ছিলেন ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র কলকাতা ব্য়ুরো-র রেসিডেন্ট এডিটর)। ওই ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মালবিকা বলেছিলেন, “আমার হাতের উপর মাথা রেখে তিনি চলে গেলেন। আমার কাছে ছোট বাচ্চার মতো ছিলেন তিনি। সেই শোক আমি খানিকটা অতিক্রম করতে পেরেছিলাম অভিনয়ের কারণে।” সেই সময় ‘ফাগুন বউ’ সিরিয়ালে অভিনয় করার সুযোগ আসে মালবিকার। অভিনেত্রীকে সেই সিরিয়ালে কাস্ট করেছিলেন লেখিকা-প্রযোজক লীনা গঙ্গোপাধ্য়ায়। মালবিকা বলেন, “ওই চরিত্রটা করতে গিয়ে আমি অনেকটাই শোক (সুমিত সেনের মৃত্যুশোক) ভুলতে পেরেছিলাম। আমাকে লীনাদি দারুণ ভাল করে চেনেন। আমার ভিতরের কষ্টগুলো বাইরে এসেছিল চরিত্রটা করার সময়।”

নিঃসন্তান মালবিকা। মা ডাকটা শোনেননি তিনি। কিন্তু অভিনয় করতে এসে মাতৃত্বও উপভোগ করেছিলেন মালবিকা। বর্তমানে পর্দায় এক গ্রহণযোগ্য মাতৃমূর্তি হয়ে উঠেছেন। কখনও গুনগুনের মা, কখনও খিলখিলের মা, রাধিকা-অঙ্কিতার মা, কখনও বা অয়নদ্বীপের মা। মালবিকা বলেছেন, “আমি যখন ‘ফাগুন বউ’তে বিক্রম (অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়)-এর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করি, ছেলেটাকে আমার দারুণ মিষ্টি মনে হয়। মনে হয়, আমার যদি ছেলে থাকত, তা হলে হুবহু বিক্রমের মতোই হত। কিংবা আমি যখন একটি নেগেটিভ ধাঁচের মায়ের চরিত্রে ‘খড়কুটো’তে অভিনয় করি, গুনগুনকে আগলে রাখি। তৃণা (অভিনেত্রী তৃণা সাহা, যিনি ‘খড়কুটো’তে গুনগুনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন)-র মধ্য়েও আমি আমার কন্যাকে খুঁজে পেয়েছিলাম।”

পৃথিবীবাসীর একাংশ যখন দেদারে খাবার নষ্ট করছে, তার পরিনাম ভোগ করতে হচ্ছে অপর অংশকে। মোট যে খাবার নষ্ট হয়েছে তা দিয়ে অন্তত ১০০ কোটি মিল (Meal) তৈরি হত। অর্থাৎ ১০০ কোটির বেশি মানুষের মুখের গ্রাস কেবল মাত্র ফেলা গিয়েছে। ‘পূর্ণিমার চাঁদকে ঝলসানো রুটি’ হিসাবে দেখা তখনই বন্ধ হবে, যখন খাবার নষ্টের এই প্রবণতায় ইতি পড়বে।

৭৮ কোটি বাঁচে খিদে নিয়ে, তবুও পৃথিবীর মোট খাবারের ১৯ শতাংশই ফেলা যায়


প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতিতে পৃথিবীর বুকে যতই বিস্ময়কর কর্মকাণ্ড চলুক না কেন, ক্ষুধার রাজত্বের অবসান কিন্তু এখনও হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও কয়েক কোটি মানুষ পেটে খিদে নিয়েই ঘুমাতে যান বা তাঁদের খাবারে পুষ্টির অবস্থা খুবই করুণ। কিন্তু এ নিয়ে পৃথিবীর অপর একটি অংশের তেমন মাথাব্যথা নেই। খাবার নষ্ট নিয়ে সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) প্রকাশিত রিপোর্ট কিন্তু এমন কথাই বলছে। সেই রিপোর্ট জানান দিচ্ছে, ২০২২ সালে গোটা বিশ্বে যে পরিমাণ খাদ্য উৎপাদিত হয়েছে, তার ২২ শতাংই নষ্ট হয়েছে। অর্থাৎ ওই বছর ১০৫ কোটি মেট্রিক টন খাবার নষ্ট হয়েছে। ২০২১ সালে খাবার নষ্টের পরিমাণ ছিল ১৭ শতাংশ।

ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (UNEP) ও ওয়েস্ট অ্যান্ড রিসোর্স অ্যাকশন প্রোগ্রাম (WRAP) যৌথ ভাবে খাদ্যনষ্ট সংক্রান্ত রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে। মূলত গৃহস্থালী, ফুড সার্ভিস এবং রিটেলারদের ডেটা বিশ্লেষণ করে এই রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে। কিছু দেশ থেকে পর্যাপ্ত তথ্যও তারা পায়নি। কিন্তু যে তথ্য মিলেছে, তাও পরিস্থিতিতে বোঝাতে যথেষ্ট।

ওই রিপোর্টে উঠে এসেছে, খাবার নষ্টের অধিকাংশই ঘটেছে গৃহস্থালীতে। পৃথিবীতে মোট খাবার নষ্টের প্রায় ৬০ শতাংশই হয়েছে বাড়িতে। ২৮ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে রেস্তোঁরা-হোটেলে। এবং রিটেলারদের কাছে খাবার নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি ব্যক্তি এক বছরে খাবার নষ্ট করেছেন প্রায় ৭৯ কেজি। মোট যে খাবার নষ্ট হয়েছে তা দিয়ে অন্তত ১০০ কোটি মিল (Meal) তৈরি হত। অর্থাৎ ১০০ কোটির বেশি মানুষের মুখের গ্রাস কেবল মাত্র ফেলা গিয়েছে। যেখানে পৃথিবীর ৭৮ কোটির বেশি মানুষ ভালভাবে খেতে পান না বা তাঁদের খাবারে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব রয়েছে

সন্দেশখালিতে তাঁকে ঘিরে এখন জনজোয়ার। কিন্তু সেই রেখা পাত্র এখন তৃণমূলের নিশানায়। তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেলে সরাসরি লেখা হয়েছে, 'রেখা পাত্রের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যাপারে খোঁজ নেবেন।'

সন্দেশখালির রেখা পাত্রের 'ব্যক্তিগত তথ্য' প্রকাশ্যে আসায় তৃণমূল-বিজেপির আকচাআকচি
সন্দেশখালিতে প্রচারে রেখা পাত্র


বসিরহাট: বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সন্দেশখালির রেখা পাত্রর ‘ব্যক্তিগত তথ্য’ প্রকাশ্যে আনার অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, রেখা সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগী। আর সে দাবির সত্যতা তুলে ধরতে রেখা পাত্রের ‘ব্যক্তিগত তথ্য’ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের সুবিধা নিয়ে দিল্লির জমিদারদের সঙ্গে জুড়েছেন রেখা। আর সেই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, নারী নির্যাতনের অভিযোগে যখন শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন জ্বলছিল সন্দেশখালিতে, সেই আন্দোলনের মুখ ছিলেন রেখা পাত্র। একেবারে দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ পৌঁছে যায় জাতীয় স্তর পর্যন্তও। রেখা পাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হন সন্দেশখালির ২ নম্বর ব্লক সভাপতি শিবু হাজরা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে সেই রেখা পাত্রকেই বসিরহাট কেন্দ্রের প্রার্থী করে চমক দিয়েছে বিজেপি। গত মঙ্গলবার রেখা পাত্রকে ফোন করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপর থেকে তিনি এখন হেভিওয়েট প্রার্থী।


সন্দেশখালিতে তাঁকে ঘিরে এখন জনজোয়ার। কিন্তু সেই রেখা পাত্র এখন তৃণমূলের নিশানায়। তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেলে সরাসরি লেখা হয়েছে, ‘রেখা পাত্রের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যাপারে খোঁজ নেবেন।’ বিজেপির বক্তব্য, রেখা পাত্র একজন বঙ্গবাসী। তিনি সন্দেশখালির বাসিন্দা। আগে তার কোনও রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন সেটা মাত্র কিছু দিন হয়েছে। তার আগে একজন রাজ্যবাসী হিসাবেই রাজ্য সরকারের সুবিধা পেয়েছেন। এটাই স্বাভাবিক।

এ প্রসঙ্গে বরানগরের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ বলেন, “এটা কি কালীঘাটের টাকা। আমি ট্যাক্স দিয়েছি, সেই টাকা আবার ঘুরিয়ে নিচ্ছো। রাজ্য সরকারের সুবিধা নেবে না? লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা নেবে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা নেবে না কেন? তৃণমূল দিচ্ছে নাকি? সরকার কি এগুলো দেয় ভোট কেনার জন্য। উল্টে তাঁর পার্সোনাল ডিটেইলস বার করে ফেলেছে! একজন প্রার্থীর ‘ব্যক্তিগত তথ্য’ বার করে নিয়েছে, এটা তো অপরাধ। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করব, এই বিষয়টা দেখার জন্য।”


যদিও তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের তথ্য তো পোর্টালে গেলেই দেখা যায়, সেটা তো গোপনীয় নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মহিলাদের জন্যই একাধিক প্রকল্প করেছেন। সরকারি বিমাতৃসুলভ আচরণ করেনি।”

কলকাতা দক্ষিণের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। বৃহস্পতিবার সকালে হরিশ মুখার্জি রোডে তিনি প্রচারে বেরিয়েছিলেন। সেখানেই পুলিশের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হন বলে অভিযোগ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা হয় সিপিএম কর্মীদের।


প্রচারে 'বাধা' সায়রা হালিমকে, কমিশনে জানালেন নালিশ
সায়রা হালিম শাহ।


কলকাতা: প্রচারের সময় সায়রা শাহ হালিমকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল সিপিএম। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী দফতরে ইমেল করে অভিযোগ জানাল সিপিএম। এই অভিযোগ ইতিমধ্যে কমিশন ইমেলের মাধ্যমে পেয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের। অভিযোগ পাওয়ার পর কমিশন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে।

কলকাতা দক্ষিণের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। বৃহস্পতিবার সকালে হরিশ মুখার্জি রোডে তিনি প্রচারে বেরিয়েছিলেন। সেখানেই পুলিশের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হন বলে অভিযোগ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা হয় সিপিএম কর্মীদের।

যদিও পুলিশের তরফে বক্তব্য, নির্ধারিত রুটের বাইরে অন্য পথে মিছিল করায় আটকায় পুলিশ। কমিশনের বক্তব্য, ‘নির্দিষ্ট রুটম্যাপ আমরা চেয়ে পাঠিয়েছি। সিপিএম-এর যাঁরা ছিলেন, তাঁরা পুলিশ পারমিশন দেওয়া রুট ম্যাপ লঙ্ঘন করে অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ আটকায়।’ সায়রা শাহ হালিমের বক্তব্য, “আমি অভিযোগ জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার অনুরোধ বিষয়টা দেখা হোক। এখানে প্রচারে নেমে যেন কোনও বাধার মুখে ভবিষ্যতে আমাকে পড়তে না হয়। আমি চাই প্রচার যেন শান্তিপূর্ণ হোক।”

৩৪ বলে প্রথমে অর্ধশতরান করেন রিয়ান পরাগ। তারপর তাঁর ব্যাটিংয়ের ঝাঁঝ আরও বেড়ে যায়। অসমের অলরাউন্ডার যে মারমুখী মেজাজে রয়েছেন, তা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। সামনে কোন বোলার রয়েছে, তাতে যেন নিজের ব্যাটিংয়ে কোনও তফাত না হয় সেই ছন্দে ব্যাট করছিলেন পরাগ।


IPL 2024: ৪, ৪, ৬, ৪, ৬! শেষ ওভারে তাণ্ডব, আইপিএলে পুনর্জন্ম রিয়ান পরাগের
৪, ৪, ৬, ৪, ৬! শেষ ওভারে তাণ্ডব, আইপিএলে পুনর্জন্ম রিয়ান পরাগের
Image Credit source: IPL Website
Follow Us:
google-news-icon
Sanghamitra Chakraborty
Sanghamitra Chakraborty | Updated on: Mar 28, 2024 | 10:15 PM
কলকাতা: রাজস্থান রয়্যালস পেয়ে গিয়েছে তাদের নতুন হিরোকে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে একটা সময় রাজস্থান রয়্যালস ৩৬ রানে ৩ উউকেট হারিয়ে ফেলে। যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলারের মতো ক্রিকেটারদের যখন ফিরিয়েছেন মুকেশ কুমার, কুলদীপ যাদবরা সেই সময় দলের হার ধরেন রিয়ান পরাগ। সেখান থেকে শেষ অবধি ৫ উইকেটে ১৮৫ রান তুলে মাঠ ছাড়ে পিঙ্ক আর্মি। নেপথ্যে রাজস্থানের হিরো রিয়ান পরাগ (Riyan Parag)। তিনি অবশ্য শুধু এই ম্যাচেই নজর কাড়লেন তেমনটা নয়। লখনউয়ের বিরুদ্ধেও আইপিএলে (IPL) রাজস্থানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন পরাগ। এ বার দিল্লির বিরুদ্ধে শেষ ওভারে ব্যাটিং তাণ্ডব দেখালেন পরাগ। যা দেখে চুপ থাকতে পারলেন না স্কাইও।

৩৪ বলে প্রথমে অর্ধশতরান করেন রিয়ান পরাগ। এটি তাঁর আইপিএল কেরিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। তারপর তাঁর ব্যাটিংয়ের ঝাঁঝ আরও বেড়ে যায়। অসমের অলরাউন্ডার যে মারমুখী মেজাজে রয়েছেন, তা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। সামনে কোন বোলার রয়েছে, তাতে যেন নিজের ব্যাটিংয়ে কোনও তফাত না হয় সেই ছন্দে ব্যাট করছিলেন পরাগ।

দিল্লির হয়ে আজ বল করেছিলেন প্রোটিয়া তারকা অনরিখ নর্টজে। পিঙ্ক আর্মির শেষ ওভারে দিল্লির নেতা ঋষভ পন্থ তাঁর হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন। এক্কেবারে আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা রিয়ান পরাগ কোনও তোয়াক্কা না করেই ব্যাটিং তাণ্ডব দেখান শেষ ওভারে। ২০তম ওভারে ২৫ রান একাই তোলেন পরাগ। শেষ ওভারে পরপর ২টি চার মারেন। এরপর ওভারের তৃতীয় বলে ১টি ছয়, চতুর্থ বলে একটি চার এবং পঞ্চম বলে ফের ছয় মারেন রিয়ান। আর শেষ বলে সিঙ্গল নিয়ে ইনিংস শেষ করেন। ৪৫ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংসের পথে রিয়ান পরাগের ব্যাটে এসেছে ৭টি চার ও ৬টি ছয়। স্ট্রাইকরেট ১৮৬.৬৬।

রিয়ান পরাগের অনবদ্য ব্যাটিং দেখে প্রশংসায় ভরিয়েছেন ভারতের তারকা ক্রিকেটার সূর্যকুমার যাদব। সোশ্যাল মিডিয়া সাইট X এ সূর্যকুমার যাদব লেখেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে একটা ছেলের সঙ্গে এনসিএতে দেখা হয়েছিল। একটু চোট নিয়ে এসেছিল ওখানে। নিজের রিহ্যাবে পুরো ফোকাস ছিল ওর। দক্ষতাও ছিল দেখার মতো। এবং সেখানকার একজন কোচকে আমি বলেছিলাম, ও বদলে গিয়েছে। আর সেটা ভুল বলিনি আমি। রিয়ান পরাগ ২.০। নজর রাখুন সকলে।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার সভা করেন বিরোধী দলনেতা। সেখান থেকেই তিনি অনির্বাণবাবুর ব্যক্তিত্বের কথা তুলে ধরে জানান, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় কোথাও আবেদন করেননি প্রার্থী হওয়ার জন্য। শুভেন্দু বলেন, 'বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এই কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করেছে, যাতে যাদবপুর কেন্দ্রে সেকু ও মাকু দুটি দলকে নির্বাচনে আমরা শেষ করে দিতে পারে।'

 যাদবপুরে শুভেন্দুর নিশানায় 'সেকু-মাকু'! ভোটের পারদ চড়ল কয়েক গুণ
যাদবপুরের সভায় শুভেন্দু অধিকারী

যাদবপুর: লোকসভা ভোটের মুখে তেতে উঠছে বঙ্গ রাজনীতির বাতাবরণ। আর এবার ভোট রাজনীতির পারদ আরও চড়িয়ে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যাদবপুর থেকে ‘সেকু’ ও ‘মাকু’ দুই দলকেই ভোট ময়দানে ‘শেষ’ করে দেওয়ার ডাক দিলেন শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার বিকেলে যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার সভা করেন বিরোধী দলনেতা। সেখান থেকেই তিনি অনির্বাণবাবুর ব্যক্তিত্বের কথা তুলে ধরে জানান, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় কোথাও আবেদন করেননি প্রার্থী হওয়ার জন্য। শুভেন্দু বলেন, ‘বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এই কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করেছে, যাতে যাদবপুর কেন্দ্রে সেকু ও মাকু দুটি দলকে নির্বাচনে আমরা শেষ করে দিতে পারে।’


উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন হতে চলেছে যাদবপুর। তৃণমূল এখান থেকে প্রার্থী করেছে অভিনেত্রী তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে। যাদবপুরের ভোট ময়দানে লাল নিশানের ধ্বজা ধরেছেন সিপিএমের যুব নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। সেখানে বিজেপির বাজি অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপরেই। তিনি শ্যামাপ্রসাদ ফাউন্ডেশনের কর্ণধার। শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির কর্মকাণ্ড, নীতি, চিন্তা, বাণী গোটা ভারতে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ যিনি করেন, তিনি অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।’


এদিনের নির্বাচনী সভা থেকে সিপিএম ও তৃণমূলকে একযোগে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা। সিপিএমকে তৃণমূলের ‘বি টিম’ বলেও আক্রমণ শানান। এদিন ফের একবার ‘নো ভোট টু মমতা’ ইস্যুতে সরব হলেন শুভেন্দু। অতীতের নির্বাচনে যে অ-বিজেপি মঞ্চ থেকে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান তোলা হয়েছিল, কিন্তু তাতেও যে বিশেষ কোনও লাভ হয়নি, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন শুভেন্দু।





 কোথায় গেল ১০০ কোটি? প্রশ্ন তুলেও মুক্তি পেলেন না কেজরীবাল

সুনিতি কেজরীবাল বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ), আদালতে দিল্লিরক আবগারি কেলেঙ্কারির সত্য ফাঁস করবেন কারাবন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এদিন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, তাঁকে বিশেষ বিচারক কাবেরী বাওয়েজার আদালতে হাজির করে। আরও সাত দিনের জন্য অরবিন্দ কেজরীবালকে হেফাজতে রাখার আবেদন করে তারা। এই আবেদনের শুনানিতে এদিন আদালতে নিজেই নিজের হয়ে যুক্তি দাখিল করেন অরবিন্দ কেজরীবাল। আবগারি কেলেঙ্কারির কোনও সত্য ফাঁস হয়নি বটে, তবে আদালতের সামনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তিনি তুলে দিলেন। তবে, এদিনও মুক্তি পেলেন না তিনি। আরও ৪ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে থাকতে হবে তাঁকে। ১ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

কেজরীবাল দাবি করেন, দেশের সামনে আপকে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দল হিসেবে প্রমাণ করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের দলকে ‘চূর্ণ করার’ চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল, আদালতের সামনে সরাসরি এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন কেজরীবাল।

তিনি বলেন, “আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে…কিন্তু কোনও আদালতেই আমাকে দোষী প্রমাণ করা হয়নি। সিবিআই ৩১,০০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছে এবং ইডি ২৫,০০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছে। আপনি যদি সেগুলি সব পড়ে ফেলেন, তারপরও আপনার মনে প্রশ্ন থেকে যাবে, কেন আমাকে গ্রেফতার করা হল? আমার বাড়িতে নিয়মিত অনেক বিধায়ক-আমলারাই আসেন। চারটে লোক কী বলল, তার ভিত্তিতে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা যায়?”

এই মামলাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে তিনি বলেন, “মানুষই এর জবাব দেবে।” তিনি আরও বলেন, “১০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে বলা হচ্ছে, সেই টাকা কোথায় গেল? কোথাও তো কোনও টাকা পাওয়া যায়নি।”

অন্যদিকে ইডি আদালতে জানায়, কেজরীবাল নিজে তো এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেনই, তাছাড়া, আপ আহ্বায়ক হওয়ার ফলে গোয়া প্রচারে কোথায় কত অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে, সেই বিষয়ে তিনি অনেক কিছু জানেন। এই বিষয়ে গোয়ার আপ প্রার্থীদের বিবৃতি রেকর্ড করা হচ্ছে। তাদের কেজরীবালের মুখোমুখি বসিয়ে, জেরা করা হবে।

ইডির পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতে বলেন, “আমাদের ওঁকে (অরবিন্দ কেজরীবাল) গ্রেফতার করার অধিকার আছে। আমাদের দেখাতে পারি, তিনি ১০০ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। আমাদের কাছে এর প্রমাণ আছে।” তিনি আরও জানান, মোবাইল-ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড দিচ্ছেন না কেজরীবাল। তাই অনেক ডিজিটাল তথ্য পাচ্ছে না ইডি। কেজরীবাল পাসওয়ার্ড না দিলে, জোর করে ইডি ওই যন্ত্রগুলি খুলবে বলে জানান তিনি।